সম্প্রতি কিছু কিছু বিদেশী তথ্য মাধ্যম তিব্বতের ১৪ মার্চের ঘটনা এবং পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মশাল হস্তান্তরের প্রথম পর্যায় সম্পর্কে পশ্চিমা তথ্য মাধ্যমের বিকৃত খবর প্রচার নিয়ে আত্মোপলব্ধিমূলক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
সিঙ্গাপুরের 'লিয়ান হো জাও পাও' পত্রিকার ২২ এপ্রিলের এক নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, পশ্চিমা তথ্য মাধ্যম কেবল নেতিবাচক খবর প্রকাশ করে। তাদের ইতিবাচক খবর এড়িয়ে যাওয়ার ঘটনায় পশ্চিমা দেশগুলোর সাধারণ মানুষ হতবাক হয়েছে। কিছু কিছু পশ্চিমা তথ্য মাধ্যম এখন নিজেদের চরম নীতি নিয়ে আত্মোপলব্ধিতে পৌঁছেছে।
২২ এপ্রিল এ এফ পির একটি ভাষ্যে বলা হয়েছে, মশাল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পন্ড করার চেষ্টায় যে বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল , চীন ও ফ্রান্স তা প্রশমিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু প্যারিসের দালাই লামাকে নাগরিকত্ব দিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদর্শনের ঘটনায় এই উদ্যোগ ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি ফ্রান্সের 'লা ফিগারো' পত্রিকায় 'প্রতিবাদের ফাঁদ' শীর্ষক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, 'তিব্বতের স্বাধীনতা'কে সমর্থনের মধ্য দিয়ে পাশ্চাত্য বিশ্বের জটিল মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে। বিশ্বায়নের প্রতিনিধি হিসেবে চীনকে দেখে পাশ্চাত্য বিশ্ব দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
'দ্য হিন্দু' পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নরসিমহান রাম ২১ এপ্রিল বলেছেন, সম্প্রতি পশ্চিমা তথ্য মাধ্যমগুলোতে ১৪ মার্চের ঘটনা প্রচারের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দালাই চক্র ও 'তিব্বত স্বাধীনতা' এর সমর্থকদের সৃষ্ট কৃত্রিম ও বানোয়াট খবর বেশি বেশি প্রচার করা। তারা বিকৃত খবরের মাধ্যমে সহিংসতার প্রতিই শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|