v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-23 13:12:51    
চীন টেকসই জ্বালানী উন্নয়নে নিজের ভূমিকা পালন করছে

cri
    ১১তম আন্তর্জাতিক জ্বালানী ফোরাম ২২ এপ্রিল ইতালির রোমে শেষ হয়েছে । এবার আন্তর্জাতিক জ্বালানী ফোরামে টেকসই জ্বালানী উন্নয়ন বাস্তবায়নের বিষয়টি ছিল অংশগ্রহণকারীদের আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু । চীনের প্রতিনিধিদলের প্রধান , চীনের জাতীয় জ্বালানী ব্যুরোর উপ প্রধান সুন ছিন সি আর আইয়ের সংবাদদাতার বিশেষ সাক্ষাত্কার দিয়েছেন ।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনসহ বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি দ্রুতভাবে উন্নত হচ্ছে এবং বিশ্বের অর্থনীতির সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে তা অনেক অবদান রেখেছে । তবে কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশ এসব উন্নয়নশীল দেশগুলোর জ্বালানী চাহিদার বৃদ্ধিতে উত্কন্ঠিত । কেউ কেউ বলেন , তা হল তেলের দাম বাড়ার প্রধান কারণ । এ সমস্যা সম্পর্কে সুন ছিন বলেন :

    চীনের তেলের চাহিদা বৃদ্ধি তেলের দাম বাড়ার কারণ নয় । আমার ধারনা হল , তেলের দাম বাড়ানোর প্রধান কারণ হল ভূভাগীয় রাজনীতি , ফটকাবাজি এবং সরবরাহ ও চাহিদার অসামন্জস্য সমন্বয়। এসব উপাদানের মধ্যে ফটকাবাজি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । এটা চীনের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে নয় । এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছৈ , ২০০৫ সালে চীনের তেলের ভোক্তা পরিমাণ ২০০৪ সালের চেয়ে কম , তবে সে বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অনেক বেড়ে ছিল ।

    সুই ছিন মনে করেন , শিল্পায়নের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ; এমন একটি দেশ হিসেবে জ্বালানী চাহিদা বৃদ্ধি এ দেশটির অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। এর পাশাপাশি যদিও চীন বিদেশ থেকে কিছু জ্বালানী আমদানি করেছে , তারপরও চীনের অভ্যন্তরীণ জ্বালানী সরবরাহ চীনের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে । তিনি বলেন :

     বলা যায় , চীন জ্বালানী ভোক্তার বড় দেশ । কারণ আমাদের জ্বালানীর মোট পরিমাণ অনেক বেশি । উল্লেখযোগ্য বিষয় হল , অনেক আগে থেকেই চীনের উন্নয়নে ব্যবহৃত জ্বালানীর ৯০ শতাংশই চীনের নিজের উত্পাদিত । তা ছাড়া , ভোক্তাদের মাথাপিছু সীমিত জ্বালানীর পরিমাণ নিয়ে গোটা চীনের অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হয়েছে । তাও খুব কঠিন ব্যাপার । এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে , ভোক্তাদের জ্বালানীক্ষেত্রে নিজের অর্থনীতির উন্নয়ন ছাড়া চীন বিশ্বের অর্থনীতির সমৃদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রেও অবদান রেখেছে ।

    বর্তমানে চীন অর্থনীতি ও সমাজ নির্মাণের একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে । জ্বালানী সরবরাহ ও টেকসই উন্নয়নসহ বিভিন্ন সমস্যা আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে । অর্থনীতির উন্নয়ন নিশ্চিত করা ছাড়া জ্বালানীর নিরাপত্তা রক্ষা করা চীন সরকারের পরবর্তী পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে । চলতি বছরের প্রথম দিকে চীন বিশেষ করে জাতীয় জ্বালানী ব্যুরো গঠন করেছে । এ ব্যুরো প্রধানত দেশের জ্বালানী উন্নয়নের কৌশল নির্ধারণ করে । সুই ছিন এ সম্পর্কে বলেন :

     কোন প্রকার দৃঢ়তা প্রদর্শন ছাড়াই চীন জ্বালানী সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানে সক্ষম । সরকার প্রধানত কয়েকটি বিষয়ে কাজ করবে , প্রথমতঃ জ্বালানীর গুণগতমান বাড়ানো । দ্বিতীয়তঃ জ্বালানী কাঠামোর সুসংহতকরণকে জোরদার করা । তৃতীয়তঃ বিশেষ করে কয়লার পুনউত্পাদন করা । কয়লা থেকে অন্য ধরনের পরিস্কার জ্বালানী উত্পাদন করবে ।

    চীন সরকার নিজের জ্বালানী নির্মাণ জোরদার করার পাশাপাশি অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় করার ওপরও গুরুত্ব দেয় । যাতে পারস্পরিক উপলব্ধি ও সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা যায়। সুন ছিন বলেন :

    চীন সক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বিনিময়ের মাধ্যমে করে এবং বিদেশের আধুনিক প্রযুক্তি আমদানির পাশাপাশি চীন একটি স্থিতিশিল আন্তর্জাতিক তেল বাজার এবং তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছে । প্রযুক্তিগত সহযোগিতার দ্বারা বিদেশের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে জ্বালানী সাশ্রয় ও পাদর্থ নিঃসরণ কমানোর কাজ ত্বরান্বিত করেছে । চীন এ ক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখেছে । এ ফোরামে অংশগ্রহণ করা এক দিকে একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে চীন জ্বালানী সমস্যার ওপর দেয়া গুরুত্ব প্রকাশ করেছে , অন্য দিকে আমরা নিজের ভূমিকা পালন করেছি ।