v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-21 15:26:34    
পাকিস্তান ক্রীড়া ব্যুরোর মহা-পরিচালক সালাহ উদ্দিনের সাক্ষাত্কার

cri

   ১৬ এপ্রিল পেইচিং অলিম্পিক গেমসের শিখা অনির্বান পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছেছে। ইসলামাবাদে মশাল যাত্রার সর্বশেষ গন্তব্য ছিল পাকিস্তান স্পোর্টস কমপ্লেক্স। মশাল হস্তান্তরের উদযাপনী অনুষ্ঠানও এখানে আয়োজিত হয়। অনেকে হয়তো জানেন না যে, চীনের সহায়তায় এই স্পোর্টস কম্প্লেক্সটি নির্মিত হয়েছিল। আমাদের বেতারের সংবাদদাতা চাং চুয়ান পাকিস্তান ক্রীড়া ব্যুরোর মহা-পরিচালক সালাহ উদ্দিনের একটি সাক্ষাত্কার নিয়েছেন।

    পাকিস্তান স্পোটস কম্প্লেক্স ইসলামাবাদের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এটি পাকিস্তানের বৃহত্তম ক্রীড়া স্থাপনা এবং কয়েকটি আধুনিক ভবন নিয়ে গঠিত। মোট আয়তন প্রায় ৭০ হাজার বর্গমিটার। এর প্রধান অংশগুলো হচ্ছে ৫০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জিন্নাহ স্টেডিয়াম, ১০ হাজার আসনের লিয়াকত জিমনেশিয়াম ইত্যাদি। সালাহ উদ্দিন বলেন, স্পোর্টস কমপ্লেক্সটি পূর্ণাঙ্গ। এটি পাকিস্তানের স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান স্টেডিয়াম। তাই এটি মশাল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে ভালো ভেন্যু। তিনি বলেন,

    স্পোর্টস কম্প্লেক্স ১৯৮৫ সালে নির্মিত হয়। এতে অনেক স্থাপনা রয়েছে। যেমন, দৌড়-ঝাঁপ নিক্ষেপ, ফুটবল, হকি স্টেডিয়াম এবং সাঁতার প্রতিযোগিতার জন্য আধুনিক সুইমিং পুল ইত্যাদি। এখানে মোট ৩টি ইনডোর স্টেডিয়াম আছে। ৬০টিরও বেশি ইনডোর ক্রীড়া ইভেন্ট এখানে আয়োজন করা যায়। এসব কারণে মশাল যাত্রার শেষ গন্তব্য এই কমপ্লেক্স। আমরা মশাল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সুবিধাজনক ব্যবস্থা নিয়েছি।

    ইতিহাসে এবারই প্রথম পাকিস্তানে অলিম্পিক গেমসের শিখা অনির্বান গেছে। পাকিস্তান এর ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে। সালাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, ইসলামাবাদে পাকিস্তান ক্রীড়া ব্যুরোর সদর দপ্তরে মোট তিন'শরও বেশি কর্মী আছেন। এবারের মশাল হস্তান্তরকে স্বাগত জানানোর জন্য সকল কর্মী কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি আরো বলেন,

    তিনি আরো বলেন, উল্লেখ্য যে, এই স্পোর্টস কমপ্লেক্স চীনের সাহায্যে নির্মাণ করা হয়। এটি হচ্ছে চীন ও পাকিস্তানের প্রযুক্তিবিদদের কঠোর পরিশ্রমে ফোটানো মৈত্রীর ফুল। সালাহ উদ্দিন বলেন,

    স্পোর্টস কমপ্লেক্স চীনা বন্ধুদের সাহায্যে নির্মিত হয়। এটি হলো একটি সার্বিক সহযোগিতা। চীন পক্ষ এ স্পোর্টস কমপ্লেক্স ডিজাইন করে পাকিস্তানে প্রকৌশলীদেরকে পাঠিয়ে নির্মাণ কাজ করে।

    সালাহ উদ্দিন আন্তরিকতার সঙ্গে বলেন, চীনা বন্ধুদের সাহায্যে নির্মিত এ স্পোর্টস কমপ্লেক্সটি পাকিস্তান ও চীনের গভীর মৈত্রীর প্রতীক। পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মশাল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ইসলামাবাদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আরেকবার দু'দেশের মৈত্রী প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বলেন,

    আমি আন্তরিকভাবে পাকিস্তান এবং চীনের মৈত্রী নিয়ে গর্ব বোধ করি। ইসলামাবাদকে মশাল হস্তান্তরের শহর হিসেবে বাছাই করায় আমরা খুব খুশি। এ থেকে বোঝা যায়, চীন পাকিস্তানকে কতটা গুরুত্ব দেয়। এ জন্য আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। (লিলি)