বেশ কয়েকটি বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু নিবন্ধে স্বাধীন তিব্বত অপপ্রয়াসের বিরোধিতা করেছে।
১৭ এপ্রিল ব্রিটেনের 'গার্ডিয়ান' পত্রিকার কলামিস্ট সিউমাস মিলনে তার নিবন্ধে বলেছেন, মার্কিন ও ইউরোপীয় কিছু সংবাদ মাধ্যম তিব্বত ইস্যুতে অতি স্পর্শকাতর ভূমিকা পালন করছে। অথচ বিশ্বের অন্য জায়গায় আরো গুরুতর অবস্থা, যেমন যুদ্ধ ও সংঘর্ষের ঘটনায় তারা উপেক্ষা করছে। তিনি মনে করেন সংবাদ প্রকাশে দ্বৈতনীতিই শুধু নয়, বরং কিছু পশ্চিমা দেশ তিব্বতের ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে বলে তা আরো জটিল হয়ে উঠেছে। তিনি মনে করেন এখন পশ্চিমা দেশগুলোর অন্য দেশের ব্যাপারে অভিভাবকত্ব বন্ধ হওয়া উচিত।
১৬ এপ্রিল 'গার্ডিয়ান' পত্রিকার আরেকটি খবরে বলা হয়, সম্প্রতি লন্ডন, প্যারিস ও সান ফ্রানসিস্কোয় অলিম্পিক মশাল যাত্রা বিঘ্নিত করার ঘটনা বিদেশে প্রবাসী চীনাদের অনুভূতিকে আহত করেছে। অস্ট্রেলিয়া পুলিশ মশাল যাত্রায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদেরকে পরীক্ষা করার অধিকার পেয়েছে, যাতে মশাল হস্তান্তর সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে।
হংকং 'সিং তাও চি পাও' পত্রিকার ১৮ এপ্রিলের খবরে বলা হয়, 'তিব্বত যুব কংগ্রেসের' চেয়ারম্যান সেওয়াং রিগজিন সম্প্রতি বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিব্বতের স্বাধীনতার জন্য আত্মঘাতি হামলাসহ যে কোনো ব্যবস্থা নিতে তারা পিছপা হবে না। আরেকটি নিবন্ধে বলা হয়, 'তিব্বত যুব কংগ্রেস' অনেক দিন ধরে "মার্কিন জাতীয় গণতন্ত্র তহবিল"-এর অর্থ সাহায্য পেয়ে আসছে। ওসামা বিন লাদেনের আল-কায়দাকে দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে আঘাত হানার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে অর্থ সাহায্যদিতো। আজকের 'তিব্বত যুব কংগ্রেস' এক দিন সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। (ইয়াং ওয়েই মিং)
|