সম্প্রতি পাশ্চাত্য দেশের কিছু তথ্য মাধ্যম পৃথক পৃথকভাবে তিব্বতের স্বাধীনতার পক্ষে দালাই লামার ওকালিত করার মর্ম উদ্ঘাটন সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
জার্মান সাপ্তাহিক 'স্টার্ন' পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, পশ্চিমা ব্যক্তিরা দালাই লামাকে আদর্শগঠন করেছে। বৌদ্ধ ধর্ম বিশ্বে সংগ্রাম না করার পক্ষপাতি। তাই পাশ্চাত্য দেশের অনেক লোক মনে করে, দালাই হচ্ছে কোমলতা ও অসহিংসতাবাদী। লাসার হিংসাত্মক কার্যকলাপ দেখেও পাশ্চাত্য দেশগুলোর এ মনোভাবের কোন পরিবর্তন হয় নি। অতীতে দালাই-এর শাসননাধীন তিব্বতে ক্রীতদাসের সংখ্যা ছিল ৯৫ শতাংশেরও বেশি। তখন অধিকাংশ তিব্বতী মানুষের লেখাপড়ার অধিকার ছিল না। ফলে দালাই-এর চীন সরকারের 'সংস্কৃতিকে নির্মূল করার' অভিযোগ একেবারেই দায়িত্ববোধহীন।
সুইডেনের স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইন্স্টিটিউটের একজন বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি তথ্য মাধ্যমকে বলেছেন, তিনি পাশ্চাত্য দেশে দালাইয়ের বক্তৃতার বিষয়ের বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ ছিল সুন্দর স্লোগান। ৩০ শতাংশ ছিল তিব্বতের বাস্তব অবস্থার ওপর উদ্বেগ। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিব্বতের বিকাশ, বিশেষ করে ক্রীতদাস আমলের তিব্বতের সঙ্গে তুলনার উল্লেখ খুব কম।
সিঙ্গাপুরের 'লিয়ানহো জাওপাও' এর ওয়েবসাইটে ১৬ এপ্রিল প্রকাশিত এক নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, পাশ্চাত্যের চীন বিরোধী কিছু শক্তি তিব্বত সমস্যা থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। তিব্বতী জনগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। তিব্বতী সমাজের অধিকাংশ মানুষ নিজেদের জীবনে 'তিব্বতের স্বাধীনতা পন্থীদের' প্রভাব দেখতে চান না। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|