আন্তঃসংসদীয় ইউনিয়নের ১১৮তম সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী আফ্রিকার সদস্যরা ১৫ এপ্রিল দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে বলেছেন, আফ্রিকা ও চীনের অর্থনৈতিক সহযোগিতা পুরোপুরি সমতা ও পারস্পরিক উপকারিতার ভিত্তিতে স্থাপিত হয়েছে। এটা জনসাধারণের জন্য বাস্তব উপকার বয়ে এনেছে। দু'পক্ষই এ থেকে লাভবান হয়েছে।
ঘানার পার্লামেন্টের সদস্য কর্সি ওরপেন এবং আংগোলার পার্লামেন্টের সদস্য ড্যানিয়াল সামুয়েল বলেন, আফ্রিকা আর চীন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পরস্পরের প্রতি আস্থাবান ও একে অপরকে সাহায্য করে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক উপকারিতা ও লাভবান । এটা হচ্ছে বিশ্বের রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নয়নের প্রতীক। এটা কেবল আফ্রিকা ও চীনের জন্য হিতকর তা নয়, বরং বিশ্বের সুষমতা ও উন্নয়নের জন্যও হিতকর।
বোটসওয়ানার পার্লামেন্টের সদস্য কারিও কাভিয়েস ও নামিবিয়ার পার্লামেন্টের সদস্য ভেইনোস ম্যাকহ্যানরি বলেন, চীন আফ্রিকার অনেক দেশের সঙ্গে পারস্পরিক ক্ষেত্রে সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দেয়, আফ্রিকার স্বল্পোন্নত দেশের অনেক পণ্যের ওপর শূন্য শুল্ক ব্যবস্থা নেয়া হয়, আফ্রিকার পণ্য আমদানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এ সব ব্যবস্থা আফ্রিকা ও চীনের বাণিজ্যিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে। আফ্রিকায় চীনের বিনিয়োগ স্থানীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিককে জোরদার করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টের স্পীকার বালেকা মেবেত ও মরক্কোর প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য আনসার মুহাম্মদ বলেন, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা ছাড়া আফ্রিকা ও চীন সংস্কৃতি, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রেও ব্যাপক পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতা করছে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|