v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-14 20:05:29    
আফ্রিকা থেকে আসা চীনা চিকিত্সার ডাক্তার ছিয়া ফুহজাহ নজিটি

cri
    শ্রোতা বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমি আফ্রিকা থেকে আসা একজন চীনা চিকিত্সার ডাক্তার ছিয়া ফুহজাহ নজিটি সম্পর্কে কিছু কথা বলবো। তিনি ক্যামেরুন থেকে চীনে এসে চীনা চিকিত্সা শিখেছেন। উত্তর চীনের শান সি প্রদেশের রাজধানী থাই ইউয়ান শহরে অবস্থিত শান সি প্রাদেশিক মস্তিষ্কের পক্ষাঘাত বিষয়ক হাস্পাতালে আমাদের সংবাদদাতা মস্তিষ্কের পক্ষাঘাত রোগীকে আকুপাংচার করা ডাক্তার ছিয়া ফুহজাহ নজিটিকে দেখেছেন।

    এই হাস্পাতালের একটি চিকিত্সা কক্ষে একটি শিশু রোগী তাঁর চিকিত্সা গ্রহণ করছে। শিশুটি ছিয়া ফুহজাহ নজিটিকে দেখে কেঁদে ফেলল নজিটি বলেন, (১)

    আকুপাংচার করতে তার ভয় লাগে। ডাক্তারদের শিশুদের সব সময় ভয় করে।

    এখানে বেশির ভাগ শিশুরাই ছিয়া ফুহজাহ নজিটিকে কালো চাচা বলে ডাকে। তিনি চার বছর আগে ক্যামেরুন সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান সি প্রদেশের চীনা চিকিত্সা ইনস্টিটিউটের শিশুদের স্নায়ু চিকিত্সা-বিধান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভের জন্যে লেখাপড়া শুরু করেন। ৩২ বছর বয়সী ছিয়া ফুহজাহ নজিটি তাঁর চীনা নাম ব্যাখ্যার সময় বলেন, আমার চীনা নাম ফেই লুং। ফেই হচ্ছে আফ্রিকার চীনা ভাষার উচ্চারণ। লুং হচ্ছে চীনের ড্রাগণ'র চীনা ভাষার উচ্চারণ। তিনি আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, ক্যামেরুনে থাকার সময় তিনি চীনা চিকিত্সা শিখেছেন।(২)

    ক্যামেরুনে চিকিত্সাবিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সময় থেকেই আমি প্রাকৃতিক চিকিত্সা সম্পর্কে খুবই আগ্রহী ছিলাম। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, চীনা চিকিত্সার উন্নয়ন চমত্কার। আকুপাংচারের রোগীদের জন্য খুব কল্যাণকর। চীনা চিকিত্সার তত্ত্ব ও নীতি একটু কঠিন। বিশেষ করে বিদেশীদের জন্য যেমন আমার চীনা চিকিত্সার বই "হুয়াং তি নেই চিং" পড়া দরকার। এ বইয়ের ইংরেজী অনুবাদ থাকলেও আমাদের কাছে খুব কঠিন।

    ফেই লুংয়ের মনে এখনো তার প্রথমবার চীনে আসার কথা জাগরুক রয়েছে। তিনি বলেছেন, (৩)

    পেইচিং বিমান বন্দরে পৌঁছে তিনি অত্যন্ত বিস্মিত বোধ করেন। পেইচিং খুবই বড় এবং ভালোভাবে উন্নতি লাভ করেছে।

    তিনি শান সি প্রদেশের চীনা চিকিত্সা ইনস্টিটিউটে লেখাপড়ার পাশাপাশি শান সি প্রদেশের মস্তিষ্কের পক্ষাঘাত বিষয়ক হাস্পাতালেও শিশুদেরকে নিয়মিত আকুপাংচার করেন। এই হাস্পাতালের পরিচালক মাদাম কুও সিন জি আজও প্রথম দিকে ফেই লুং-এর চিকিত্সা করার বিষয়টি মনে রেখেছেন। তিনি বলেছেন, (৪)

    প্রথম দিকে রোগীরা তাঁকে চিনতো না। তারা ফেই লুংকে ভয় পেতো। আমি বলি, এই কালো চাচা খুব ভালো।

স্বল্পকালের মধ্যেই এই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। কুও সিন জি বলেছেন,(৫)

    তিনি আকুপাংচারের সময় খুব মৃদুভাবে ষ্পর্শ করেন। শিশুরা খুব চতুর। তারা মনে করে, তাঁর করা আকুপাংচার তাদের খুব আরাম লাগে। ধাপে ধাপে তাঁর সুনাম বেড়ে যায়। বেশি লোক তাঁর চিকিত্সা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। নজিটি বলেন,(৬)

    আমি শিশুদের খুব পছন্দ করি। আমি যদিও ক্লান্ত বোধ করি, তবুও আমি না বলতে পারি না। শিশুদের চিকিত্সার জন্য আমি সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।

    ফেই লুং-এর সঙ্গে কাজ করছেন ডাক্তার শি চিয়াও চিয়ে। তিনি ফেই লুং-এর প্রশংসা করে বলেছেন, (৭)

    তিনি আমাদের চেয়েও নিষ্ঠানবান। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি খুব সতর্ক। তাছাড়া তিনি শিশুদেরকে খুব পছন্দ করেন। তিনি এই কাজকে ভালোবাসেন।

    হাস্পাতালের বাইরে তিনি উ সু ও তাই চি চর্চা করা পছন্দ করেন। চীনে থাকার চার বছরের জীবন তাঁর ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতেও তিনি চীনে বসবাস করতে পারবেন। তিনি বলেন,(৮)

    আমি চীনে এতদিন থাকতে পেরে খুব সৌভাগ্যবান। কেন না, প্রতিদিন চীন পরিবর্তিত হচ্ছে। আমি চীনাদের সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ করে তাদের জীবন যাত্রা সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারি। আমি শান সিকে ভালোবাসি। আমি চীনকে ভালোবাসি। চীনকে আমার দ্বিতীয় বাড়ি বলে মনে করি।