v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-14 15:04:56    
যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়ার প্রতি লী মিয়ং বাকের নতুন অবস্থান

cri
    দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লী মিয়ং বাক ১৩ এপ্রিল বলেছেন, বতর্মানে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক পুনবিন্যাসের পর্যায়ে উন্নীত হচ্ছে । দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কোরীয় উপ দ্বীপের পরমাণু সমস্যা সমাধানে সহায়তাকারী হিসেবর আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ।

    ১৩ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে লী মিয়ং বাক বলেন, " ছ'পক্ষীয় বৈঠকের" মাধ্যমে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচী পরিত্যাগ করানোর জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে । তিনি জোর দিয়ে বলেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সমস্যা নিষ্পত্তি ও উত্তর কোরিয়ার জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার জন্যে দক্ষিণ কোরিয়া যে কোনো সময় উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংলাপ চালাতে ইচ্ছুক । দক্ষিণ কোরিয়া আশা করে, উত্তর কোরিয়া এর জন্য সদিচ্ছা দেখাবে । তিনি আরও বলেন, তিনি শিগগরিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও জাপান সফর করবেন । এটা হল দক্ষিণ কোরিয়ার বাস্তব কূটনীতির প্রথম ধাপ ।

    এর আগে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে মাঝে মাঝে মতবিরোধের সমস্যা ছি । কেন লী মিয়ং বাক এই সময়টি দক্ষিণ কোরিয়ার এই অবস্থান প্রকাশের জন্য বেছে নিলেন সেটি একটি প্রশ্ন । এ প্রসঙ্গে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ভাষ্যকার দক্ষিণ কোরিয়ায় সি আর আইয়ের সাবেক সংবাদদাতা জেন জে বলেছেন, বতর্মানে কোরীয় উপ দ্বীপের পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত স্পশর্কাতর । গত ফেব্রুয়ারী মাসে লী মিয়ং বাক দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন । এর ফলে এখন উত্তর কোরিয়ার প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার নীতি পুনবিন্যাস করা হচ্ছে । এপ্রিল মাসের পর তার নেতৃতাধীন গ্র্যাত ন্যাশলাল পার্টি পার্লামেন্টে জয়লাভ করেছে ।সুতরাং এখন প্রেসিডেন্ট লী মিং বাক সহজেই নতুন নীতি প্রণয়ন করতে পারবেন । তিনি ১৫ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু করবেন । যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে নীতি সমন্বয় করা তার এবারের সফরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য । এই পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংলাপের ইচ্ছা আশা প্রকাশ করেছে ।

    বতর্মানে বিশ্ব সম্প্রদায় স্বীকৃতি দিয়েছে যে, " ছ'পক্ষীয় বৈঠক" কোরীয় পরমাণু কর্মসূচী নিষ্পত্তির একমাত্র পথ । লী মিং বাকও বলেছেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়াকে তার পরমাণু পরিকল্পনা পরিত্যাগ করতে রাজি করাতে পারবে । কারণ উপ-দ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত করাদু'দেশের জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ । এ প্রসঙ্গে ভাষ্যকার জেন জে বলেন, সম্প্রতি " ছ'পক্ষীয় বৈঠকে" অংশ গ্রহণকারী বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ছে । শিনগাপুরে উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠকের পর পেইচিংএ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যেও যোগাযোগ হয়েছে । এ থেকে বোঝা যায়, " ছ'পক্ষীয় বৈঠক" এগিয়ে যাচ্ছে । তিন্তু, এ সত্য স্বীকার করতে হয় যে, বিশ্ব সম্প্রদায় কোরীয় উপ-দ্বীপেরপরমাণু কর্মসূচীর দিকে গভীর মনোযোগ দিয়ে এলেও দীর্ঘকাল ধরে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচী নিষ্পত্তিতে সব সময় ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে । গত ৮ এপ্রিল সিংগাপুরে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতাদের মধ্যে বৈঠকে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে । কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী কন্ডোলিত্সা রাইস বৈঠকের পর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করেনি ।

    গত ৯ এপ্রিল অন্যান্য পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত করার পর চীনের প্রতিনিধি দলের নেতা উপ পররাষ্ট্র মন্ত্রী উ ডা উ বলেছেন, " ছ'পক্ষীয় বৈঠকে" যে সব অসুবিধা রয়েছে সেগুলো অতিক্রম করার পথ খোঁজা হচ্ছে । এ সব সমস্যার পুরোপুরি সমাধান করতে সময় লাগবে ।