v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-11 14:04:22    
চীনের জিম তারকা ছেং ফেই

cri

    সম্প্রতি "গুড লাক, পেইচিং" আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতা-২০০৭ জাতীয় ক্রীড়া কেন্দ্রে শেষ হয়েছে। এবারের প্রতিযোগিতায় ১৯ বছর বয়সী নারী ক্রীড়াবিদ, চীনের নারী প্রতিনিধি দলের পরিচালক ছেং ফেই জাম্পিং ওভার, ফ্রি একসারসাইজ এবং ব্যালেন্স বীম এই তিনটি ইভেন্টে স্বর্ণ পদক পেয়েছেন। চীনের নারী জিমন্যাস্টিকস দলের তারকা ক্রীড়াবিদ হিসেবে ছেং ফেই'র দিকে দেশের মানুষ তাকিয়ে থাকে। বয়সে ছোট হলেও তিনি অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক জিতেছেন। আজকের অনুষ্ঠানে ছেং ফেই'র তথ্য আপনাদেরকে জানাবো।

    ছেং ফেই চীনের হুপেই প্রদেশের হুয়াং শি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মেয়েটি দেখতে খুব শান্ত এবং মুখে সব সময় মিষ্টি হাসি লেগে থাকে। মিষ্টি এই মেয়েটির সাফল্যের কথা জানলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। ১৫ বছর বয়সে ছেং ফেই এশিয়া জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপে জাম্পিং ওভার এবং ফ্রি একসারসাইজে স্বর্ণ পদক পান। ১৭ বছর বয়সে তিনি আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপে জাম্পিং ওভার ইভেন্টে স্বর্ণ পদক জেতেন। সেটি ছিল কোনো চীনা নারী ক্রীড়াবিদের প্রথম জাম্পিং ওভার ইভেন্টে স্বর্ণ পদক জেতার ঘটনা। ১৮ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি নারীদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং জাম্পিং ওভার ও ফ্রি একসারসাইজ দুটিতেই স্বর্ণ পদক পান। ২০০৭ সালের চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি আবার জাম্পিং ওভারে স্বর্ণ পদক পান।

    ছেং ফেই যে কত বিখ্যাত তা বোঝা যায় জাম্পিং ওভারে তার নামেই তারই একটা বিশে মুভমেন্ট জিমন্যাস্টিকসের একটি বিশেষ ইভেন্ট হিসেবে চালু হওয়ার ঘটনায়। এর নাম হলো "ছেং ফেই জাম্প"। "ছেং ফেই জাম্প" একটি কঠিন ফ্লিপ মুভমেন্ট। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ছেং ফেই সুন্দরভাবে এই মুভমেন্ট পরিবেশন করেছিলেন। এরপর আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস এসোসিয়েশন এই মুভমেন্টটি "ছেং ফেই জাম্প" নামে চালু করে। এটি জিমন্যাস্টিকস ইতিহাসে কোনো চীনা নারী ক্রীড়াবিদের নামে চালু হওয়া প্রথম ইভেন্ট।

    সফল জিমন্যাস্ট ছেং ফেই বেশ ফুটবল খেলা দেখতেও খুব পছন্দ করেন। ছেং ফেই বলেন:

    (রি ১) "আমি ফুটবল খেলা দেখতে খুব পছন্দ করি। আমার প্রিয় টিম হলো আরসেনাল। তাদের খেলা দেখতে আমার খুব ভাল লাগে।"

    মেয়ে হয়েও ফুটবল খেলা পছন্দ করে, তাহলে নিশ্চয় তার কিছু দিক ছেলেদের মতো। ছেং ফেই'র গৃহশিক্ষক লিউ ছুন লিন বলেন, ছেং ফেই যে ফুটবল পছন্দ করে তা দলের সবাই জানে। দলের অধিকাংশ ক্রীড়াবিদ সাধারণত খুব হৈচৈ, লাফালাফি করে কিন্তু ছেং ফেই কিন্তু শান্ত-ধীর স্থির। তিনি বই পড়তেও পছন্দ করেন, বিশেষ করে ইতিহাসের বই। গৃহশিক্ষক লিউ বলেন:

    (রি ২) "ছেং ফেই ইতিহাসের বই পড়তে পছন্দ করে, যেমন "সান কুও ইয়ান ই"। সে খুব মেধাবী মেয়ে। যে বই চিন্তার খোরাক যোগায় সে বই তার পছন্দ।"

    ইতিহাসের বই ছেং ফেই'র চিন্তাধারার ওপরে প্রভাব ফেলে। তিনি খুব শান্ত এবং মেধাবী। তার জিমন্যাস্টিকস চর্চায়ও সেটা দেখা যায়। গৃহশিক্ষক লিউ বলেন:

    (রি ৩) "প্রতিযোগিতায় ছেং ফেই বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে। বয়স কম হলেও সে প্রতিযোগিতায় প্রত্যেকটি প্রক্রিয়া খুব স্পষ্টভাবে ভাবতে পারে, সেটা খুবই মূল্যবান। আসলে প্রতিযোগিতার জন্যই যেন তার জন্ম। জীবনের ভাল অভ্যাসগুলো তার প্রতিযোগিতায়ও খুব কাজে লাগে।"

    ছেং ফেই সত্যি খুব মনযোগ দিয়ে সব কিছু শেখেন। যেমন নতুন একটা মুভমেন্ট শিখলে সেটা নিয়ে তিনি অনেক ভাবেন, কিভাবে আরো সুন্দর করা যায়, কিভাবে উন্নত করা যায়। তারপর নিরলস চর্চা করে যান মুভমেন্টটি সুন্দরভাবে আয়ত্ত করতে না পারা পর্যন্ত।

    জীবনে এবং চর্চায় ছেং ফেই অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু তিনি সব সময় সাহস নিয়ে সেগুলো মোকাবেলা করে থাকেন। ছেং ফেই বলেন:

    (রি ৪) "আমি আশা করি আরো সাহসী হতে পারবো। সব সময় নিজেকে বলি, আত্মবিশ্বাস হারিয়ো না।"

    ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে ছেং ফেই চীনের জাতীয় জিমন্যাস্টিকস টিমের প্রধান হয়েছেন। তিনি টিম ভাল করে তোলার জন্য নিজেও অবদান রেখেছেন। গৃহশিক্ষক লিউ তাকে নিয়ে খুব গৌরব বোধ করেন। তিনি বলেন:

    (রি ৫) "ছেং ফেই খুব সজ্জন, সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকে। সে প্রধান হওয়ায় টিমের পরিবেশ খুব ভাল।"

    অলিম্পিকের সময় ছেং ফেই এবং তার সহকারী ক্রীড়াবিদদেরও স্বর্ণ পদক পাওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন দেশের অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক পাওয়া হলো তার স্বপ্ন। তিনি এই স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রাণপন চেষ্টা করবেন। (ইয়াং ওয়েই মিং)