বৃহত্তর মেকং নদীর উপঅঞ্চল মেকং ও লান ছাং নদী চীন, মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্পুচিয়া ও ভিয়েতনামের সঙ্গে সংযুক্ত। এই অঞ্চলের আয়তন ২৫ লাখ ৬৮ হাজার ৬শ' বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ৩২ কোটি। ভৌগোলিক দিক দিয়ে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও এশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত অঞ্চল।
বৃহত্তর মেকং নদীর মেকং নদী ও লানছাং নদী এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক নদী। চীনের অংশকে লান ছাং নদী এবং চীনের বাইরের অংশকে মেকং নদী বলা হয়। লান ছাং নদী ও মেকং নদীর উত্সস্থল হচ্ছে চীনের ছিংহাই-তিব্বত পার্বত্যের থাং কু লা শান। উত্তর থেকে দক্ষিণ দিক পর্যন্ত চীনের ছিং হাই, তিব্বত ও ইয়ুন নান তিনটি প্রদেশ এবং মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্প্মচিয়া ও ভিয়েতনাম এই ৫টি দেশের ওপর দিয়ে বয়ো গেছে। ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটির অদূর থেকে নদীটি দক্ষিণ চীনের সমুদ্রে গিয়ে মিশেছে। নদীর মোট দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৪ হাজার ৮শ' ৮০ কিলোমিটার।
বৃহত্তর মেকং নদীর উপঅঞ্চলে আবহাওয়া বৈচিত্র ও বিভিন্ন ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখানে সমৃদ্ধ পানি, জীব সম্পদ ও খনিজ সম্পদ রয়েছে। ফলে বিরাট অর্থনৈতিক সুপ্ত শক্তি ও ভবিষ্যত উত্তোলন সম্ভাবনাও আছে। উপঅঞ্চলে জাতি গোষ্ঠীর সংখ্যাও অনেক। স্থাপত্য, পোশাক, অলঙ্কার এবং ধর্মীয় আচার আচরণও ভিন্ন। উপঅঞ্চলের বিভিন্ন দেশে অনেক ঐতিহাসিক স্থান ও দৃশ্যাবলী আছে। যেমন চীনের লি চিয়াং প্রাচীন শহর, মিয়ানমারের ইয়াংগুন উরন, লাওসের লুয়াং প্রোবাং প্রাচীন শহর, কম্পুচিয়ার অ্যাংকর ওয়াট, থাইল্যান্ডের মহা প্রাসাদ এবং ভিয়েতনামের হা লোং বেই।
দীর্ঘকাল ধরে, নানা কারণে, বৃহত্তর মেকং নদীর উপঅঞ্চলের অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়ন তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়ে। এর মধ্যে কম্পুচিয়া, লাওস এবং মিয়ানমার জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উপঅঞ্চলের বিভিন্ন দেশ অর্থনৈতিক কাঠামো সংস্কার করার চেষ্টা চালিয়ে শিল্প কাঠামো সুবিন্যস্ত এবং বিশ্বমুখীনতা সম্প্রসারণ করছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেশগুলোর অভিন্ন লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। (খোং চিয়া চিয়া)
|