v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-07 14:02:21    
এশিয় ও মধ্য-প্রাচ্য সংলাপ সম্মেলনে সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী

cri
    ৬ এপ্রিল দু'দিনব্যাপী এশিয়া ও মধ্য-প্রাচ্য দ্বিতীয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন মিশরের শার্ম আল শেইখে শেষ হয়েছে । সম্মেলনে গৃহীত এক সিদ্ধান্তে বলা হয়, নতুন ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হবে এশিয়া ও মধ্য-প্রাচ্যের সম্মিলিত দায়িত্ব । অংশগ্রহণকারীরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ।

    এশিয়া ও মধ্য-প্রাচ্যের ৫০টি দেশ এবং কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এশিয়া ও মধ্য-প্রাচ্যের সহযোগিতা জোরদার করা নিয়ে আনুপূর্বিক আলোচনা করেছেন । এবারের সম্মেলনের শিরোনাম হলো কার্যক্রমে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সুষ্ঠু হবে' । এর উদ্দেশ্য হলো এশিয়া ও মধ্য-প্রাচ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংলাপ ও সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা । সম্মেলনের পর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে , বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা , সার্বভৌমত্ব ও ভুভাগের অখন্ডতা এবং পরস্পরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তাক্ষেপ না করার নীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন। বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ ও সুষম পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাসহ অর্থনীতির সমৃদ্ধি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে । যাতে বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সুষম অবস্থান ত্বরান্বিত করা যায় ।

    বিশ্বের বহু পর্যায়ের উন্নয়ন, অর্থনীতির বিশ্বায়ন এবং আঞ্চলিক একীকরণের নতুন ঐতিহাসিক সময়পর্বে এশিয়া ও মধ্য-প্রাচ্য তার নতুন উন্নয়নের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন । অঞ্চল দু'টি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে । এ দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা মনে করেন,

    প্রথমত: স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করা উচিত । স্থিতিশীলতা হলো যে কোনো দেশ ও অঞ্চলের উন্নয়নের ভিত্তি । এশিয়া ও মধ্য-প্রাচ্য হলো উত্তেজনাময় প্রশ্নের দু'টি অঞ্চল । ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের সংঘর্ষ, ইরাক সমস্যাও কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যা এ দু'টি অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাসবাদও বহুজাতিক অপরাধসহ অঐতিহাসিক নিরাপত্তা সমস্যা দু'টি অঞ্চলে বেশ ঘটেছে । তাহলে কীভাবে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব ? চীনের প্রতিনিধি দলের প্রধান, উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই সম্মেলনে বলেন, বিভিন্ন দেশের শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সংকট মোকাবিলা করা , সংলাপ ও পরামর্শের মাধ্যমে মতভেদের সমাধান করা , পারস্পরিক আস্থা, কল্যাণকার, সম্মান ও সহযোগিতা করে সম্মিলিতভাবে নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করা উচিত ।

     দ্বিতীয়ত : অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা করা । এশিয়া ও মধ্য-প্রাচ্যের অধিকাংশ দেশই উন্নয়নশীল দেশ । দেশগুলো অর্থনৈতিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন । দু'টি অঞ্চলের জ্বালানী সম্পদ, বাজার, শিল্পের কাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের পারস্পরিক পরিপূরকতা বেশি । বিশেষ করে বাণিজ্য, পুঁজি বিনিয়োগ, আর্থিক , জ্বালানী সম্পদ ও পর্যটনের সহযোগিতার সুযোগ বেশি । বিভিন্ন দেশের উচিত বিভিন্ন ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা । বর্তমানে এশিয়া ও মধ্য-প্রাচ্যের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার , দু'পক্ষ পারস্পরিক পুঁজি বিনিয়োগের জন্য ভিত্তি স্থাপন করেছে ।

    অংশগ্রহণকারীরা জোর দিয়ে বলেন, মানব সম্পদ হলো এশিয়া ও মধ্য-প্রাচ্যের অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । দু'পক্ষের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রের সহযোগিতাও জোরদার করা উচিত । বর্তমানে এশিয়া ও মধ্য-প্রাচ্য সংলাপের কাঠামোয় জর্দানে পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং কাতারে বেসামরিক কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড জোরদারে প্রশাসনিক ব্যক্তিদের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে ।

    তৃতীয়ত : অভিন্ন সভ্যতা ও ধর্মের সংলাপ । অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, তা সহজেই উপেক্ষা করা সম্ভব। অনেক মতভেদ ও সংকট যোগাযোগ ও সমঝোতার অভাবের কারণে সৃষ্টি হয় । এশিয়া ও মধ্য-প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের উচিত দুই অঞ্চলের সংস্কৃতির প্রাধান্যকে গুরুত্ব দেয়া, অভিন্ন সভ্যতা ও ধর্মের মধ্যে সংলাপ জোরদার করা এবং অভিন্ন সভ্যতা ও সমাজের পরস্পরের প্রাধান্যকে মেনে নেয়া এবং তাকে উন্নত করা ।

    (ছাও ইয়ান হুয়া)