v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-04 20:35:32    
হু থুংয়ের নতুন চেহারা

cri

     হু থুং হচ্ছে পেইচিং শহরের ঐতিহ্যবাহী রাস্তার দু'পাশের ছোট অলিগলি। এখানে আপনি পেইচিংয়ের প্রাচীন ইতিহাস এবং ঐতিহ্যবাহী সব কিছুই অনুভব করতে পারেন। পেইচিং-এর হু থুং চীনের ইউয়ান রাজবংশের সময় নির্মিত। যা হলো পেইচিং-এর অধিবাসীদের বসতবাড়ি। তাহলে বর্তমানে হু থুংয়ের অধিবাসীরা কী ধরণের জীবন কাটাচ্ছে?

    শ্রোতাবন্ধরা, আপনারা সবেমাত্র শুনেছেন যে প্রাচীন পেইচিং হু থুংয়ের একটি আদর্শিক প্রতিনিধি----পেইচিং হুয়াং হুয়া মেন কমিউনিটিতে অনুষ্ঠিত একটি টেবিল-টেনিস প্রতিযোগিতার শব্দ ও কথামালা । এখানে অনেক বেশি টেবিল-টেনিস অনুরাগী একত্রিত হয়েছে। সবাই মিলেমিশে থাকে । তাদের তাতেই অনেক খুশি লাগে। ৬৬ বয়স্ক বয়সী চৌ ইয়ান লিং তাদের মধ্যে অনত্যম। তিনি বলেন:" শরীর চর্চার মধ্যেই জীবন নিহিত । টেবিল-টেনিস খেলার মাধ্যমে আমার অনেক বন্ধুরে সাথে পরিচয় হয়েছে। এর ফলে টেবিল-টেনিস খেলার মান এবং আমাদের পারস্পরিক মৈত্রী দুইই জোরদার হয়েছে। আমি অনেক আনন্দিত।"

    চৌ সাহবের মতো শরীর চর্চা পছন্দ করে এমন প্রাণবন্ত বুড়ো-বুড়ীকে হুয়াং হুয়া মেন কমিউনিটিতে অনেক দেখা যায়। শুনেছি তার অনেক বন্ধু হস্তলিপি, দাবা এবং নৃত্যের সঙ্গে ব্যায়াম ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ। এ থেকে বুঝা যায় যে, এখানকার সাংস্কৃতিক জীবন খুবই বৈচিত্র্যময়। হুয়াং হুয়া মেন কমিউনিটির পরিচালক কাও চিয়ান রুং জানান," ২০০৫ সালে আমাদের উদ্যোগে এ ব্যায়াম সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি পেইচিংয়ের তুং ছেং এলাকার বেসামরিক প্রশাসনিক ব্যুরোতে নিবন্ধিত সমিতিগুলোর অন্যতম। এ সমিতির কর্মকান্ডের মধ্যে কল্যাণমূলক দিক রয়েছে। একই সঙ্গে আমরা অধিবাসীদেরকে তাদের সখ অনুযায়ী মোট ১৪টি ক্রীড়া দল এবং ৩টি সাংস্কৃতিক দলে বিভক্ত করেছি। ২০০৫ সালে সারা শহরে আমরা ক্রীড়া হচ্ছে জীবনের সহায়ক এ ধারণা উপস্থাপিত করেছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিদিন শরীর চর্চা , প্রতি সপ্তাহেই অনুষ্ঠান, প্রতি মাসে প্রতিযোগিতা এবং প্রতি তিনি মাসের সংশ্লিষ্ট আদান-প্রদানের তত্পরতাও আছে।"

   এর মাধ্যমে অধিবাসীদের খেলার উত্সাহ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে অংশগ্রহণকারী অধিবাসীরা এতে নিজেরাই লাভবান হন বেশি । দাবা দলের প্রধান মা মিং সিয়াং বলেছেন, ২০০৬ সালে কমিউনিটি দাবা পছন্দকারীদের জন্য একটি বিশেষ দাবা ঘর স্থাপন করেছে। এতে দাবা সংস্কৃতির সুষ্ঠু উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন:" এখন আমাদের দাবা ঘরের পরিবেশ খুবই সুন্দর। ভেতরে গেলে দাবা খেলার সংস্কৃতিকে অনুভব করতে পারেন। এখানে সংশ্লিষ্ট প্রচার সংক্রান্ত বইপত্র এবং গণ-সৌচাগারসহ সব কিছু আছে। দাবা অনুরাগীদের সম্মিলন তাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে তুলেছে" দাবা সংস্কৃতি চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হস্তলিপি, গান-গাওয়া, পেইচিং অপেরা এবং নৃত্যের তালে তালে শরীর চর্চাসহ বিভিন্ন দলের অনুষ্ঠানও বৈচিত্র্যময়ভাবে চালু হয়েছে। শরীর চর্চা দলের প্রধান ফেং সি শান বলেন: " ১৯৯৬ সালে অবসর নেয়ার পর আমি চিং শান পার্কে নাচনাচি, থাই চি বক্সিংসহ বিভিন্ন ধরণের খেলা করতাম। আমি মনে করি, বেশি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া আমার শরীরের জন্য বেশ ভাল। সবাই যাতে শরীর চর্চায় অংশ নেয় সে জন্য আমাদের কমিউনিটির নেতারা অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এখন ৯৫ শতাংশ অধিবাসী সংশ্লিষ্ট খেলার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন।"

1 2