v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-07 15:50:02    
ফু চিয়ান প্রদেশের শহরের নাগরিকের মৌলিক চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থা ইতিবাচকভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে

cri
    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন নগরে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের মৌলিক চিকিত্সা বীমা ও গ্রামের নতুন চিকিত্সা সহযোগিতা ব্যবস্থা ধাপে ধাপে গড়ে তোলা ও ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে চিকিত্সার ক্ষেত্রে নগরের শ্রমিক ও কর্মচারী এবং গ্রামের অধিবাসীদের আরো বেশি নিশ্চয়তা এনে দিয়েছে। তবে নগরে বসবাস করছে এমন বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা, দরিদ্র পরিবার,প্রতিবন্ধী এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের চিকিত্সা সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যাবে? আজকের অনুষ্ঠানে আমি দক্ষিণ পূর্ব চীনের ফু চিয়ান প্রদেশ নাগরিকদের কল্যাণে গড়ে তোলা চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থা আপনাদেরকে ব্যাখ্যা করবো।

    ফু চিয়ান প্রদেশের সিয়া মেন শহরের মাদাম ছেন সিয়াং-এর বয়স ৮০ বছর । দু'বছরের আগে মলনদ্বানের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। দরিদ্রতার জন্য প্রবল চাপ তার পরিবারের ওপর পড়েছে। তাঁর ছেলের স্ত্রী চেং চেন চেন তখনকার সংকটাবস্থার কথা উল্লেখ্য করে বলেছেন, (১)

    তার গুরুতর রোগের জন্যে আমরা অবশ্য একটি বড় চাপের সম্মুখীন হয়েছিলাম। আমি আর আমার স্বামীর চাকরি ছিল না। এখন চিকিত্সার ফি বেশি। তার চিকিত্সার বেশির ভাগ খরচ সরকার বহন না করলে আমরা হাস্পাতালে তার চিকিত্সা করতে পারবো না।

    জানা গেছে, ২০০১ সাল থেকে ফু চিয়ান প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে নগরের শ্রমিক ও কর্মচারীদের মৌলিক চিকিত্সা বীমা ও গ্রামের নতুন চিকিত্সা সহযোগিতা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। নগর ও গ্রামের অধিবাসীদের চিকিত্সা সমস্যার মৌলিক সমাধান করেছে। গত বছর থেকে ফু চিয়ান প্রদেশের ফু চৌ, সিয়া মেন ও নান পিং শহরে নগরের অধিবাসীদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়। ফু চিয়ান প্রদেশের শ্রম ও সামাজিক নিশ্চয়তা বিধান ব্যুরোর উপ মহাপরিচালক লাই শি ছিং বলেছেন,(২)

    নগরের অধিবাসীদের মৌলিক চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থা হচ্ছে সরকার ও ব্যক্তিদের সহায়তায় যৌথ পুঁজি তহবিল গড়ে অধিবাসীদের হাস্পাতালে চিকিত্সা-বিধানের মৌলিক চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থার দুটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমতঃ নগরের বৃদ্ধবৃদ্ধা, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিশুসহ নগরের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মচ্যুতরাও মৌলিক চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারে। দ্বিতীয়তঃ অর্থ সংগ্রহের বহু উপায় আছে। মৌলিক চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থা সরকার ও ব্যক্তিদের যৌথ পুঁজি সংগ্রহ করা ছাড়াও, সমাজের দাতব্য কাজ আর চাঁদা দানসহ বিভিন্ন উপায়ের মাধ্যমে পুঁজি সংগ্রহ করা যায়।

    লাই শি চিন বলেছেন, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার আগে বৃদ্ধবৃদ্ধা ও শিশুসহ বিভিন্ন কর্মচ্যুতদের চিকিত্সা খরচ পরিবারকে বহন করতে হতো। গুরুতর রোগে আক্রান্ত হবার পর এ পরিবারও দরিদ্র হয়ে যেতো। তিনি বলেছেন, মৌলিক চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থা গড়ে তোলার নীতির কল্যাণ জনগণের চিকিত্সার নিশ্চয়তা বিধান সম্ভব হয়েছে।

    জানা গেছে, গত বছরের শেষ নাগাদ ফু চৌ, সিয়া মেন ও নান পিং তিনটি শহরে সাত লাখ অধিবাসী এই ব্যবস্থায় যোগ দিয়ে মৌলিক চিকিত্সা বীমার সুযোগ ভোগ করছে। বৃদ্ধ ছেন সিয়াং হচ্ছেন তাদের মধ্যে একজন। সিয়া মেন শহরের সামাজিক বীমা পরিচালনা কেন্দ্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা চিয়াং কেং শেং বলেছেন, এই ব্যবস্থায় যোগ দেয়া অধিবাসীদের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ চিকিত্সা খরচ স্থানীয় সরকার বহন করে। পরবর্তীতে এই হার আরো বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, (৩)

    এই ব্যবস্থায় যোগ দেয়া অধিবাসীদের চিকিত্সা খরচ কমে যাওয়ার দিকটি এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, হাস্পাতালে ভর্তি হওয়া বৃদ্ধবৃদ্ধাদের ক্ষেত্রে তাদের চিকিত্সা ব্যয় ৪৭ শতাংশ কমে গেছে এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের চিকিত্সা ব্যয় ৫৫ শতাংশ কমে গেছে। অধিবাসীদের ওপর থেকে চিকিত্সা ব্যয়ের চাপ কমে যাওয়ার জন্যে এটি অন্যন্ত কল্যাণকর।

    সিয়া মেনের একটি হাস্পাতালের নার্স লি সু মিন আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, নগরের অধিবাসীদের চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাই হোকনা কেন , জনগণ এ ব্যবস্থা থেকে সত্যি সত্যিই লাভবান হয়েছেন। হাস্পাতালের একজন কর্মী হিসেবে তিনি বলেছেন, (৪)

    চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থা না থাকলে বেশির ভাগ জনগণ অর্থনৈতিক অসুবিধার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লেও হাস্পাতালে আরো বেশি চিকিত্সা ব্যবস্থা গ্রহণ করতো না। এখন সিয়া মেন এই বীমা ব্যবস্থা নিয়েছে। বেশি দরিদ্র পরিবারের অর্থনৈতিক চাপ এখন কিছুটা কমে গেছে।

    ফু চিয়ান প্রদেশের ফু চৌ, সিয়া মেন ও নান পিং হলো চীনের চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থা চালু হওয়ার একটি উদাহরণ মাত্র। বর্তমানে চীন ৭৯টি শহরে এই ব্যবস্থা চালু করেছে। চীন সরকারের সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১০ সাল পর্যন্ত এই ব্যবস্থা সারা দেশে চালু হবে।

    সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের ' বিজ্ঞান ও জীবন ' এখানেই শেষ করছি, আমাদের সঙ্গে থেকে অনুষ্ঠানটি শোনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শ্রোতাবন্ধুরা বিজ্ঞান বিচিত্রা অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত আমাদের অনুষ্ঠানকে আরো সমৃদ্ধ করবে । আপনারা সবাই সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন । পরবর্তী আসরে আবার কথা হবে।