ভাল্ডাস আদামকুস ২০০৪ সালের জুন মাসে লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। জুলাই মাসে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে শপথগ্রহণ করেন।
লিথুয়ানিয়া বাল্টিক সাগরের পূর্ব দিকে অবস্থিত। তার উত্তর দিকে লাটভিয়া, দক্ষিণ পূর্ব দিকে বেলারুস, দক্ষিণ পশ্চিম দিকে পোল্যান্ড।
লোকসংখ্যা ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ৩ শ । এর মধ্যে লিথুয়ানিয় ৮১.৮ শতাংশ, রুশ ৮.১ শতাংশ, পোলিশ ৬.৯ শতাংশ এবং বেলারুসী ১.৪ শতাংশ। অধিবাসীরা ক্যাথলিক ধর্মে বিশ্বাসী। সরাকারী ভাষা লিথুয়ানিয়। এখানে রুশ ভাষাও বেশি চলে।
রাজধানি ভিলনিউস। লোকসংখ্যা ৫ লাখ ৭৮ হাজার। এর আয়তন ২ শো ৮৭ বর্গকিলোমিটার।
১৯১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী লিথুয়ানিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে । ১৯১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯১৯ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত লিথুয়ানিয়ার অধিকাংশ ভূ-ভাগে সোভিয়েট ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। ১৯১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে লিথুয়ানিয়া ও বেলারুসকে নিয়ে গঠিত বেলারুস সোভিয়েট সমাজতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালের ১১ মার্চ লিথুয়ানিয়া সোভিয়েট ইউনিয়নের কাছ থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করে। ২০০১ সালের মে মাসে লিথুয়ানিয়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়।
লিথুয়ানিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লাসহ খনিজসম্পদ প্রচুর। দেশটির আবিষ্কৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমাণ বেশি।এছাড়াও, দেশটির বনাঞ্চলের আয়তন ১ শো ১৯ লাখ ৭৫৫ হেকটর। যা সারা দেশের ৩০ শতাংশেরও বেশি।
১৯৯১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা সম্পর্কের সুষ্ঠু উন্নয়ন হচ্ছে। দু'পক্ষ আর্থ-বাণিজ্য, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উন্নয়ন, অবকাঠামো ব্যবস্থার স্থাপন, কৃষিশিল্প এবং উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতার ক্ষেত্র দ্রুত উন্নয়ন করেছে। ১৯৯১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৬ সালের ২৪ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাল্ডাস আদামকুস চীনে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।--ওয়াং হাইমান
|