৩ এপ্রিল দৈনিক কুয়াংমিং পত্রিকায় তিব্বত সামাজিক ও বিজ্ঞান একাডেমীর গবেষক , আন্তর্জাতিক তিব্বত বিদ্যা সোসাইটির সদস্য পাসাওয়াং তুইর লেখা একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে । প্রবন্ধটিতে উল্লেখ করা হয় যে , বাস্তব ঘটনা প্রমাণ করেছে , দালাই চক্র তিব্বতী জনগণের ক্ষতিসাধন করছে ।
প্রবন্ধটিতে বলা হয়েছে , চতুর্দশ দালাই ও তার সহচররা তিব্বতী জনগণের কল্যাণের প্রতিনিধির ছদ্মবেশ ধারণ করে একদিনও তিব্বতী জনগণের কোনো উপকার করেনি । বিংশশতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে মাতৃভূমিকে বিভক্ত করার সশস্ত্র অভূত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত দালাই চক্র জাতীয় ক্ষেত্রেদ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে আসছে এবং বলপ্রয়োগের তত্পরতা চালানোর কথা বড়াই করে বলেছে । ১৪ মার্চ ঘটনার সময় কাল স্থায়ী না হলেও তাকে মানবাধিকার লংঘনের একটি দুর্যোগ বলা যায় ।
প্রবন্ধটিতে বলা হয়েছে , দালাই চক্র আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রায়শঃইবলত, চীন তিব্বতে ১২ লাখ তিব্বতীকে হত্যা করেছে । কিন্তু বিংশশতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে তিব্বতের স্থানীয় সরকারের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী তিব্বতের লোকসংখ্যা ছিল মাত্র ১১ .৪ লাখ । দালাই চক্রের ওকালতি অনুযায়ী আজকের তিব্বত নির্জন এলাকায় পরিণত হত । আজকের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের লোকসংখ্যা ২৮ লাখে দাঁড়িয়েছে । এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ তিব্বতী ও অন্যান্য সংখ্যালঘুজাতি ।
প্রবন্ধে বলা হয়েছে , বিশ্বের বিবেকবান ও ন্যায়পরায়ন সকল মানুষরা তিব্বতের ইতিহাস এবং আসল ঘটনা জানলে বুঝতে পারবেন কারা তিব্বতী জনগণের ক্ষতিসাধন করছে ? --চুং শাওলি
|