v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-03 14:32:29    
জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলায় বেসরকারী সংস্থার কার্যক্র

cri
    জলবায়ুর পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের পাঁচ দিনব্যাপী বৈঠক থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৬৩টি দেশের প্রায় ১২০০ জন প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। বৈঠকের প্রধান আলোচ্যবিষয় হলো গত বছরে জলবায়ুর পরিবর্তন বিষয়ক বালি দ্বীপে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সম্মেলনে গৃহীত "বালি দ্বীপের রোডম্যাপ" নিয়ে আলোচনা করা। সরকারী প্রতিনিধিদের চেয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলা করার পক্ষপাতী বেসরকারী সংস্থাগুলো এবারের সম্মেলনে সক্রিয় রয়েছে।

    জলবায়ুর পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের বৈঠকের তৃতীয় দিন ২ এপ্রিলের। বৈঠকে অনেক বেসরকারী সংস্থা পৃথক পৃথকভাবে বলেন, তারা বিভিন্ন দেশের সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বৈঠকের অগ্রগতি অর্জন ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে আশা পোষণ করে।

    আমি কানাডা থেকে এসেছি। আবহাওয়ার উষ্ণায়ন কানাডার ভূ-পৃষ্ঠ ও সমুদ্র ব্যবস্থার উপর হুমকি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। উত্তর মেরুর তুষার ধাপে ধাপে বিলিন হচ্ছে। আমাদের প্রাকৃতিক গ্যাস কার্বন ডাইঅক্সাইডে পরিণত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের অবস্থার চেয়ে অনেক দ্বীপ দেশ এবং অনুন্নত দেশ আরো গুরুতর হুমকির সম্মুখীন। এবারের সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য আমি অনেক দেশ সফর করেছি। ফলে আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি যে, কানাডা একটি ধনী দেশ। আমরা আশা করি, উন্নত দেশগুলো বিশ্বের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। জলবায়ুর পরিবর্তন শুধু উন্নত দেশগুলোর ওপর হুমকি সৃষ্টি করছে। তাই নয়, এটি তাদের অনেক  অংশীদারি দেশগুলোর উপরও হুমকীর সৃষ্টি করছে।

    আপনারা এখন যার কথা শুনছেন তিনি হচ্ছেন আন্তর্জাতিক জলবায়ু কার্যক্রম ব্যবস্থার প্রতিনিধি ক্রিস হেনসচেলের। আন্তর্জাতিক জলবায়ু কার্যক্রম ব্যবস্থা হচ্ছে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ক্ষেত্রে বড় ব্যাপকতাসম্পন্ন একটি বেসরকারী সংস্থা। বিশ্বের জলবায়ুর পরিবর্তন সম্পর্কিত তিন'শতাধিক সংস্থা এতে যোগ দিয়েছে। এই কার্যক্রম সরকার ও ব্যক্তির উদ্যোগে মানবজাতির সৃষ্ট জলবায়ুর পরিবর্তনকে প্রাকৃতিক পরিবেশের টেকসই আওতায় নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

    জানা গেছে, এ বৈঠকে মোট ৬৫টি বেসরকারী সংস্থার ২২৯ প্রতিনিধি পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিয়েছেন।

    বিশ্বের বিখ্যাত বেসরকারী পরিবেশ বান্ধব সংস্থা, বিশ্ব প্রকৃতি তহবিলের প্রতিনিধি ক্যাথরিন গুটমান সংবাদদাতাদের দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তীব্রভাবে অভিযোগ করেছেন যে, জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলার ক্ষেত্রে কিছু কিছু উন্নত দেশের দৃষ্টিভঙ্গীর কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তিনি মনে করেন, জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলা সম্পর্কিত নতুন চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য উন্নত দেশগুলোর উচিত বিশ্বের স্বার্থের দিকটির উপর আরো বেশি দৃষ্টি রাখা। তিনি বলেন,

    আমি মনে করি, আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছি। কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন আমরা কীভাবে করবো এবং কী কী অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে এ ধরণের সমস্যার উপর দৃষ্টি রাখছি। কিন্তু বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের জাতীয় স্বার্থের ওপর দৃষ্টি রাখছে। সাধারণত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী একপেশে হয়।

    গুটমান বলেন, এবারের বৈঠকে জাপান ও নিউজিল্যান্ডসহ কিছু উন্নত দেশ বিস্তারিত খুটিনাটির ওপর মাত্রাতিরিক্তভাবে দৃষ্টি রাখছে। এ ধরণের দৃষ্টিভঙ্গী সম্মিলিতভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলার অনুকূল হবে না।

    জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলার ক্ষেত্রে বেসরকারী সংস্থার ভূমিকা প্রসঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী রেনমিন ইউনিভাসিটি অব চায়নার পরিবেশ ইন্সটিটিউটের উপ-পরিচালক চৌ চি মনে করেন,

    বেসরকারী সংস্থার ভূমিকা অপরিহার্য। পরিবেশ ও আবহাওয়া হচ্ছে বিশ্বের গণমানুষের সম্পদ। কিছু আন্তর্জাতিক বেসরকারী সংস্থার ক্ষমতা খুব শক্তিশালী। সাধারণত বলা যায়, তাদের কাজ কল্যাণকর। (লিলি)