v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-01 20:19:31    
পাকিস্তানের নতুন মন্ত্রিসভা সদস্যদের শপথ

cri
    পাকিস্তানের নতুন মন্ত্রিসভার ২৪জন সদস্য ৩১ মার্চ ইসলামাবাদের প্রেসিডেন্ট ভবনে শপথ গ্রহণ করেছেন । প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ তাদেরকে শপথ পড়ান এবং শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন । নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই ২৪জন পাকিস্তানের নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম দফার সদস্য। জানা গেছে, পূর্ণ মন্ত্রিসভা গঠনে কয়েক মাস সময় লাগবে ।অবশেষে মন্ত্রিসভার সদস্য ৭০ জন দাঁড়াতে পারে ।

    গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি শপথ গ্রহণের পর , পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন পার্টি মন্ত্রিসভার সদস্য ভাগাভাগি নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু করেন । সংশ্লিষ্ট চুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন পার্টি পার্লামেন্টে বিভিন্ন দলের আসন সংখ্যা অনুযায়ী মন্ত্রিসভার পদ ও অনুপাত নির্দিষ্ট করবে । গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর মধ্যে পিপলস পার্টি পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণপদ পেয়েছে। মুসলিম লীগ এন অর্থমন্ত্রীর পদ পেয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রার্থী এখনও নির্ধারিত হয়নি। কিন্তু এর আগে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি পিপলস পার্টির সদস্য রেহমান মালিককে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা নিয়োগ করেছেন । এই উপদেষ্টা পদটি মন্ত্রী পদমর্যাদার । সুতরাং মুসলিম লীগ এন থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেন। ভবিষ্যতে পাকিস্তানের নতুন মন্ত্রিসভা সন্ত্রাস দমনের দিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবে । নীতি নির্ধারনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাস দমন ও দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা নতুন সরকারের প্রধান কতর্ব্য । তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ তাদের বতর্মানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জা । দেশের আইন ও শৃংখলতা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা তাদের প্রধান কাজ। তাদের দায়িত্ব হল পাকিস্তান থেকে সন্ত্রবাসবাদ নিমূর্ল করা । তবে সন্ত্রাস দমনে নতুন সরকার রাজনৈতিক সমঝোতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহ নানা ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগ করার কথা বলেছে । এর পাশাপাশি, ইউসুফ রাজা গিলানি চরমপন্থীদেরকে অস্ত্র সমর্পন করে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন । সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের নতুন সরকারের কৌশল কার্যকর হবে কি না তা প্রমাণিত হওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তা ছাড়া, নতুন সরকার নিম্নমুখী অর্থনীতি , দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং জ্বালানী ঘাটতির মুখে পড়ছে ।

    পাকিস্তানের নতুন মন্ত্রিসভা ও প্রেসিডেন্ট পারভেজ মশাররফের মধ্যে সম্পর্ক কোন দিকে গড়াবে তা এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । যে দিন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন সেই দিন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোটের সাবেক বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মেদ চৌধুরী তাঁর জন্মস্থান---পাকিস্তানের পশ্চিমাংশের কুয়োটতে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রতিনিধি বিচারপতিদের সঙ্গে সাক্ষাত করছিলেন। তিনি তাদের সঙ্গে বরখাস্ত-হওয়া বিচারপতিদেরকে আবার পুর্নবহাল নিয়ে আলোচনা করেন । গত বছরের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানে জরুরী অবস্থা জারির পর প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ ইফতিখার চৌধুরি সহ দশ বারো জন বিচারপতিকে বরখাস্ত করেন । এর পর তারা গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারী মাসে পার্লামেন্টে পিপলস পার্টি ও মুসলিম লীগ এন জয়লাভ করে । গত ৯ মার্চ এ দুটি পার্টি ঘোষণা দেয় যে , নতুন সরকার গঠনের ৩০ দিনের মধ্যে বিচারপতিদেরকে স্বপদে পুর্নবহাল করা হবে ।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিচারপতিদেরকে পুনর্বহালের ব্যাপারে দুটি পার্টির অবস্থান একটু ভিন্ন । মুসলিম লীগের অবস্থান দৃঢ় এবং পিপলস পার্টির অবস্থান নমণীয় । এতক্ষণ আজকের প্রতিবেদন শুনলেন । শোনার জন্য ধন্যবাদ।