চীনের সমাজ বিজ্ঞান একাডেমীর সংখ্যালঘু জাতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জালো সম্প্রতি সাংবাদিকদের সংগে এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন , তিব্বতের আধুনিকায়নের সাফল্যকে অস্বীকার করা যায় না ।
জালো বলেন , একটি পশ্চিমা সংবাদপত্র সম্পতি বলেছে যে , বহু তিব্বতী নাগরিক সবসময় আধুনিকায়ন বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করে আসছেন । তাদের এ প্রত্যাশা বাস্তবে রূপ না পাওয়ায় তারা প্রচলিত ব্যবস্থায় হতাশ হয়েছেন । এ বক্তব্য সম্পূর্ণই সাদাকে কালো বলার শামিল ।
জালো বলেন , শান্তিপূর্ণ মুক্তি , বিশেষ করে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ চালু হওয়ার পর তিব্বতের আধুনিকায়নের গতি দ্রুত হতে থাকে । ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ চালু হওয়াটা তিব্বতের শহর ও গ্রামের দ্রুত উন্নয়নে প্রবল প্রাণশক্তি যুগিয়েছে । এখন তিব্বতের শহর ও গ্রামের রাস্তা , পানি সরবরাহ ও নিষ্কাশন ও আবর্জনা শোধনসহ বুনিয়াদি ব্যবস্থা সুসংহত হচ্ছে এবং শহর ও গ্রামের পরিবেশ ও চেহারার লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন ঘটেছে । ২০০৭ সাল নাগাদ তিব্বতে বিভিন্ন ধরণের স্বাধীন বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪০টি এবং বিভিন্ন ধরণের পেশাদার প্রকৌশলীর সংখ্যা ৪ লাখে দাঁড়িয়েছে ।
জালো বলেন , প্রাকৃতিক ও সামাজিক কারণে তিব্বতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেরিতে শুরু হলেও বিভিন্ন জাতির প্রচেষ্টায় গৌরবময় সাফল্য অর্জিত হয়েছে । কেউই এ লৌহ-কঠিন বাস্তবতাকে মুছে ফেলতে পারবে না ।
|