v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-28 16:18:32    
ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাহদি আর্মির সংঘর্ষের আরো অবনতি

cri

    ২৭ মার্চ ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী এবং ইরাকী শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা মোক্তাদা আল সদরের নেতৃত্বাধীন মাহদি আর্মির মধ্যে বসরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘর্ষ তৃতীয় দিনে প্রবেশ করেছে । ইরাকের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর জেনারেল কমাণ্ডার নুরি আল মালিকির নেতৃত্বে লড়াই আরও তীব্রতর হয়েছে এবং ইরাকের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে । 

    জানা গেছে, ইরাকের দক্ষিণাঞ্চল বসরার এই লড়াইয়ে তিন দিনে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাহদি আর্মির ৫০জনেরও বেশি নিহত হয়েছে । এর পাশাপাশি লড়াই বসরার অদূরে দিওয়ানিইয়াহ এবং কুট অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে । ইরাকের রাজধানী বাগদাদের সদর শহর ও কাজিমিয়াহ্ অঞ্চলেও নিরাপত্তা বাহিনী ও আল সদরের সমর্থকদের মধ্যে লড়াই হয়েছে । বর্তমানে বসরার বাইরে দু'পক্ষের সংঘর্ষে কয়েক শো নিহত এবং কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছে ।

    সংঘর্ষের শুরু থেকেই ইরাক সরকার মাহদি আর্মির ওপর তীব্র আঘাত হানার মনোভাব পোষণ করে আসছে । ২৬ মার্চ মালিকি শিয়া সম্প্রদায়ের সশস্ত্র জঙ্গীদেরকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে আত্মসমর্পন করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন , নইলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে । ২৭ মার্চ তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, অভিযানের ব্যাপারে যতোই বিরোধিতা আসুক না কেন সরকার শিয়া সম্প্রদায়ের সশস্ত্র জঙ্গীদের ওপর আঘাত হানা বন্ধ করবে না । তিনি আরও বলেন, ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর শিয়ার সম্প্রদায়ের সশস্ত্র জঙ্গীদের ওপর চালানো সামরিক অভিযানের উদ্দেশ্য হল জনগণের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি রক্ষা করা ।

    তবে সংঘর্ষের অন্য পক্ষ সদর সরকারের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে নমনীয় । তবে সদরের নেতৃত্বাধীন মাহদি আর্মির প্রতিরোধের পাশাপাশি চোরাগোপ্তা হামালার পথ বেছে নিচ্ছে । ২৭ মার্চ ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, মাহদি আর্মির সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা বসরার পুলিশের প্রধান আবদু আল হালিলের গাড়ি বহর যে রাস্তা দিয়ে যায় সেখানে সড়ক বোমা স্থাপন করে তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে । এতে হালিলের তিনজন দেহরক্ষী নিহত হয়েছে । হালিল অবশ্য বেঁচে গেছেন । একইদিন, বসরার কাছে একটি প্রধান তেল সরবরাহ লাইন সশস্ত্র জঙ্গীদের বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । পুলিশ মনে করে, এ ঘটনা মাহদি আর্মি ঘটিয়েছে ।

    ২৭ মার্চ হাজার হাজার সদর সমর্থক বাগদাদে বিক্ষোভ করে সরকারের মাহদি আর্মির ওপর অভিযানের প্রতিবাদ করেছে । বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির পদত্যাগ দাবি করেছে । সদর মুভমেন্টের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সম্প্রতি সরকার পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক করার অনুরোধ করেছে , যাতে বসরার সংকট সমাধান করা যায় । তবে ইরাক সরকার সদর মুভমেন্টের সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে কোনো সাড়া দেয় নি ।

    বর্তমানে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী ও মাহদি আর্মির মধ্যে যুদ্ধবিরতি তো দূরের কথা, যুক্তরাষ্ট্রের অনুপ্রেরণায় তাদের সংঘর্ষ আরো তীব্র আকার ধারণ করবে । ২৬ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেন, বর্তমানে বসরার সংঘর্ষ ইরাকের জন্য একটি ইতিবাচক ঘটনা । কারণ তা সরকারের পক্ষে অবৈধ সশস্ত্র জঙ্গীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সহায়ক হবে । বুশ আরও বলেন, ইরাকে মোতায়েন মার্কিন বাহিনী ইরাক সরকারকে সহায়তা দেবে । যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি অবশ্যই ইরাক সরকারকে অব্যাহতভাবে মাহদি আর্মির ওপর আঘাত হানার জন্য শক্তি যুগাবে ।

    বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেন, ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাহদি আর্মির সংঘর্ষের আরও অবনতি হলে ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর গুরুতর প্রভাব পড়বে এবং আরও ব্যাপক মাত্রায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়বে । ইরাকের মানুষ মোটেও এ পরিণতি দেখতে চায় না । (ছাও ইয়ান হুয়া)