লুক্সেম্বোর্গ ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। দেশটি পূর্ব দিকে জার্মানি, দক্ষিণ দিকে ফ্রান্স, পশ্চিম ও উত্তর দিকে বেলজিয়ামের সঙ্গে সংলগ্ন। আয়তন ২৫ হাজার ৮৬৩ বর্গকিলোমিটার।
লোকসংখ্যা ৪ লাখ ৪১৩ হাজার। এর মধ্যে লুক্সেম্বোর্গের স্থানীয় অধিবাসী ৬৪.৪ শতাংশ এবং বিদেশী ৩৫.৬ শতাংশ। বিদেশী অধিবাসীর প্রধান অংশ হচ্ছে পর্তুগাল,ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি, ব্রিটেন এবং নেদারল্যান্ডস থেকে আসা। সরকারী ভাষা ফরাসী, জার্মানি এবং লুক্সেম্বোর্গী। প্রশাসন , আইন বিচার ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ফরাসী ভাষা বেশি ব্যবহৃত হয়, জার্মানি এবং লুক্সেম্বোর্গী সংবাদপত্র এবং বেসামরিক মৌখিক ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত। ৯৭শতাংশ অধিবাসী ক্যাথলিক ধর্মে বিশ্বাসী।
রাজধানি লুক্সেম্বোর্গ। রাজধানীতে লোকসংখ্যা ৮১ হাজারেরও বেশি।
১৫ থেকে ১৮ শতাব্দী পর্যন্ত লুক্সেম্বোর্গ পর পর স্পেন , ফ্রান্স এবং অস্ট্রিয়ার উপনিবেশ ছিল।দু'টি বিশ্ব যুদ্ধেই জার্মানি লুক্সেম্বোর্গের ওপর আক্রমণ চালায়। ২০০৫ সালের জুলাই মাসে দেশটিতে গণ ভোটের মাধ্যমে " ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংবিধান প্রস্তাব" গৃহীত হয়।
লুক্সেম্বোর্গ হচ্ছে উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশগুলোর অন্যতম। প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য্য ফম। লোহা ও ইস্পাত , অর্থ এবং ভিডিও , টেলিভিশন হচ্ছে দেশটির আয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বনাঞ্চলের আয়তন ৯০ হাজার হেকটর, যা মোট আয়তনের এক তৃতীয়াংশ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, দেশটিতে রাসায়নিক, যন্ত্র নির্মাণ, রাবার এবং খাদ্যদ্রব্য শিল্পের দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে। এ সব শিল্পের আকার জি.ডি.পির ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে লোহা ও ইস্পাতের মাথাপিছু উত্পাদন মূল্য ৫.৮ টন, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। সেজন্যই দেশটির আরেকটি সুন্দর নাম রয়েছে " লোহা ও ইস্পাত উত্পাদনকারী দেশ"। গ্রামীণ অধিবাসী মোট লোকসংখ্যার ৪ শতাংশ । প্রধান কৃষি পণ্য হচ্ছে গম এবং ভূট্টা।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে লুক্সেম্বোর্গের নীতি হচ্ছে মানবাধিকার , বিভিন্ন দেশগুলোর স্বার্থকে সম্মান করা।
১৯৭২ সালের ১৬ নভেম্বর লুক্সেম্বোর্গের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী চীন সফর করেন। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লুক্সেম্বোর্গের প্রেসিডেন্ট হেনরি চীন সফর করেন।--ওয়াং হাইমান
|