v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-27 18:41:32    
বিশ্ব পানি দিবস

cri

গত ২২ মার্চ ছিল ১৬তম বিশ্ব পানি দিবস এবং একই সঙ্গে ২০০৮ সাল হচ্ছে আন্তর্জাতিক পরিবেশ স্বাস্থ্য বর্ষ। সুতরাং এ বছরের বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল 'স্বাস্থ্য রক্ষা'।

পানি হচ্ছে বিশ্বের অমূল্য সম্পদগুলোর মধ্যে একটি। সারা বিশ্বের পানি সমস্যার ওপর মনোযোগ দেয়ার জন্য ১৯৯৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জাতিসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনে প্রনীত একবিংশ শতাব্দীর অ্যাকশন এজেডার প্রস্তাব অনুযায়ী, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে গৃহীত ১৯৩ নম্বর প্রস্তাবে ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতি বছরের ২২ মার্চকে বিশ্ব পানি দিবস ঘোষণা করা হয়। এর লক্ষ্য হচ্ছে পানি সম্পদের বহুমুখী ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান ত্বরান্বিত করা, পানি সম্পদ সংরক্ষণ কাজ জোরদার করার পাশপাশি বড় ধরনের প্রচার না ও সচেতনতা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পানি সম্পদের উন্নয়ন ও সংরক্ষণে জনগণের সচেতনতা বাড়ানো।

প্রতি ৩ বছরে জাতিসংঘ প্রকাশিত 'বিশ্ব পানি সম্পদের উন্নয়ন রিপোর্ট' হচ্ছে মিষ্টি পানি সম্পদের ওপর সার্বিক পর্যালোচনা রিপোর্ট। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বর স্বাস্থ্যের অবস্থা উদ্বেগজনক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

পৃথিবীতে প্রায় ১১০ কোটি মানুষ নিরাপদ পানীয় জল পায় না এবং ২শ'৬০ কোটি মানুষ মৌলিক স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাশাপাশি দুষিত পানি থেকে বিপুল পরিমানে ব্যবহার্য পানি সম্পদ দুষিত করে যা মানবজাতির স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৩১ লাখ মানুষ ময়লা পানি খাওয়ার পর রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ হচ্ছে ৫ বছরেরও কম বয়সের শিশু।

এ বছরের বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন তার ভাষণে বলেন, বর্তমানে বিশ্ব ২০০০ সালে গৃহীত 'সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য' বাস্তবায়ন থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালে বিশ্বের মৌলিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অনুপাত অর্ধেকে নামার কথা। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা হচ্ছে, বর্তমানের উন্নয়ন গতি অনুসারে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২শ'১০ কোটি মানুষ মৌলিক স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যাবে। বান কি মুন মনে করেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও অপর্যাপ্ত অর্থসহ বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব হচ্ছে বর্তমান অবস্থার গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে মানুষের জীবন-যাত্রার মানের উন্নতি হয়।