v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-26 11:22:56    
ওটাকু --সবসময় বাড়িতে থাকা সেই সব যুবকদের সম্পর্কে কিছু তথ্য

cri

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্ব অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়নের কারণে লোকজনেরওপর চাপ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে । বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোর লোকজনের । গত শতাব্দীর ৮০ দশক থেকে জাপানে ওটাকু নামের লোকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে । ওটাকু জাপানী ভাষার অর্থ হলো তোমার বাড়ি । এ ধরনের লোক সবসময় বাড়িতে থাকে কার্টুন দেখে । পরিবারের আত্মীয়স্বজনসহ সমাজের নানা ধরনের লোকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ খুব কম এবং কার্টুন পছন্দ করে এমন মানুষকে তারা অনেক পছন্দ করে । যদিও তাদের বিয়ের বয়স পার হয়েছে তবুও তাদের বিয়ের ইচ্ছা নেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন দেশের সমাজ ও অর্থনীতির উন্নয়নের কারণে অনেক দেশে এ ধরনের লোক বাড়ছে । আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে সবসময় বাড়িতে থাকা সেই সব যুবকদের সম্পর্কে কিছু তথ্য দেবো ।

    সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা চীনের কুয়াংচৌ শহরে একটি জরীপ চালানোর পর জানতে পেরেছেন যে, বর্তমানে বেশির ভাগ যুবকরাই সবসময় বাড়িতে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকে এবং কার্টুন বই ও সিনেমা দেখে । বাবা মা ও সহপাঠীদের সঙ্গে কম কথা বলে এমন যুবকদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে । তারা নানা ধরনের কার্টুন ছবি কিনতে পছন্দ করে এবং ওয়েবসাইটে নানা ধরনের কার্টুন সিনেমা ড্যাউন লোড করতে পছন্দ করে । শুধু খাবার খাওয়ার সময় বাবা মা'র সঙ্গে অল্প কয়েকটি কথা বলে । বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের যুবকদের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার এবং এ ধরনের যুবদের অবস্থার তিনটি পর্যায় রয়েছে । প্রথম পর্যায়, স্কুলে লেখাপড়া করার পর তারা যার যার নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসে । দ্বিতীয় পর্যায়: বাবা মা'র সঙ্গে খুব কম কথা বলে এবং সমাজের অন্য লোকের সঙ্গে যোগাযোগই করে না । তৃতীয় পর্যায়, সবচেয়ে গুরুতর অবস্থা, শুধু নিজের ঘরে থাকে এবং বাবা মা'র সঙ্গেও কথা বলে না ।

    সংশ্লিষ্ট জরীপ ও বিশ্লেষণের পর বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের যুবকদের অবস্থা বর্ণনা করেছেন । তাঁরা মনে করেন, এ ধরনের যুবকদের পরিবার তাদের আচরণের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে । তাদের বাবা মা মনে করেন, নিজেদের শিশুর বাড়িতে থাকা সবচেয়ে ভালো ও নিরাপদ । বাবা মা শিশুদের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত তদারকী ও আগলে রাখার কারণে এসব সন্তানদের বাইরের লোকের সঙ্গে যোগাযোগের অভ্যাস অনেক কমে গেছে । ফলে তারা বাইরে যেতেও পছন্দ করে না ,শুধু বাড়িতেই থাকতে পছন্দ করে । তাদের মধ্যে অধিকাংশ যুবকে পরিণত হওয়ার পরও সমাজের কোন কাজে অংশ নিতে চায় না । শুধু বাড়িতে কার্টুন ও সিনেমা দেখে সময় কাটায় । বিশেষ করে লেখাপড়া বা চাকরি করার সময় চ্যালেঞ্জ বা ঝামলার সম্মুখীন হলে সহজেই নিজের দুনিয়ায় নিজেকে আড়াল করে রাখে এবং ইতিবাচকভাবে চ্যালেঞ্জটির মোকাবিলা করার সাহসও সঞ্চয় করতে পারে না ।

   এ ধরনের যুবকদের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি উপায় বাতলে দিয়েছেন। যুবকদের দিক থেকে তারা শুধু নিজের দুনিয়ায় থাকতে চায় কারণ মনে করে এভাবে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে কোন চাপ নেই । তাদের এ মন-মানসিকতার পরিবর্তনের জন্য তাদের বাবা মা'র উচিত শিশুদের বাইরে নিয়ে যাওয়া ও অন্যদের সঙ্গে মিশতে দেয়ার চেষ্টা করা । তাদের বিপদ বা সমস্যা দেখা দিতে পারে এই ভয়ের কারণে তাদের অতিরিক্ত আগলে রাখা উচিত নয় ।

    শ্রোতাবন্ধুরা, এতক্ষণ আমি আপনাদেরকে সবসময় বাড়িতে থাকা ওটাকু যুবকদের সম্পর্কে কিছু তথ্য জানালাম । সঠিকভাবে তাদের অবস্থা জানার পর, সংশ্লিষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনারাও তা ভালভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন ।