v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-24 21:03:46    
  পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মশাল প্রজ্বলন অনুষ্ঠান(ছবি)

cri

     ২৪ মার্চ পেইচিং অলিম্পিক গেমস ২০০৮-এর মশাল গ্রীসের অলিম্পিয়ায় প্রজ্বলন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মশাল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়েছে।

   গ্রীসে স্থানীয় সময় ২৪ মার্চ সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ঢোলের তালে তালে পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মশাল প্রজ্বলন অনুষ্ঠান প্রাচীন অলিম্পিয়ার ধ্বংসাবশেষে অবস্থিত হেরাইওন -এ আয়োজন করা হয়। প্রাচীন গ্রীসের ঐতিহ্যবাহী সাদা লম্বা স্কার্ট পরা ২০জন নারী যাজক দুই পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা ঢোলের তালে তালে হেরাইওন পৌঁছান। এর পর মশালধারী গ্রীসের উর্ধ্বতন নারী যাজক মারিয়া নাফপ্লিওতু কেন্দ্রস্থলে গিয়ে চড়া কন্ঠে সূর্যের দেবতা আপোলোর উদ্দেশে স্তুতি পাঠ করেন।

    স্তুতি পাঠ শেষে সর্বোচ্চ নারী যাজক নাফপ্লিওতু মশাল হাতে তুলে ধরে তাতে সফলতার সঙ্গে পবিত্র অগ্নি প্রজ্বলন করেন। পরবর্তী ১৩০ দিন ধরে পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মশাল হস্তান্তর বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের ২০ হাজারেরও বেশি মশালধারীর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এটা ৫টি মহাদেশ ও বিশ্বের জন্য শান্তি , বন্ধুত্ব ও আবেগ বয়ে আনবে। ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় পবিত্র অগ্নি পেইচিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হস্তান্তরিত হবে । তখন অলিম্পিক গেমসের প্রধান মশাল প্রজ্বলিত করা হবে।

    ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসের মশাল প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে গ্রীসের অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান মিনোস কাইরিয়াকু সর্বপ্রথমে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি আশা করেন , পেইচিং অলিম্পিক গেমসের মশাল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে অলিম্পিকের চেতনা ও ক্রীড়া অনুশীলনের মর্মবাণী প্রচার করা হবে। তিনি ২৯তম অলিম্পিক গেমসের সাফল্য কামনা করেছেন ।

   অলিম্পিক গেমসের মশাল ভিন্ন দেশ , ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন ধর্ম বিশ্বাস ও ভিন্ন বর্ণের ক্রীড়া নৈপুণ্য এবং বিশ্বের শান্তি ও ভালবাসার প্রতীক। অলিম্পিক মশাল প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাকস রগে বলেন, বিশ্বের প্রতিটি মানুষ অলিম্পিক গেমসের পবিত্র অগ্নির তাত্পর্য সম্পর্কে জানতে পারবেন বলে তিনি সর্বান্তকরণে কামনা করেন। তিনি আশা করেন, এটা বিশ্ব জনগণের জন্য বন্ধুত্ব ও শান্তির তথ্য বয় আনবে এবং মানব জাতির ভবিষ্যত আরো উদ্দীপনাময় করে তুলবে ।

    ২০০৮ সাল অলিম্পিক গেমসের স্বাগতিক শহরের প্রতিনিধি হিসেবে পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান লিউ ছি পবিত্র মশাল প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি গ্রীসের জনগণ ও সরকারকে পেইচিং অলিম্পিক গেমসকে সমর্থন ও সাহায্য দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমরা গ্রীসের জনগণ ও সরকারের প্রতি পেইচিং অলিম্পিক গেমসকে দেয়া সমর্থন ও সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা অলিম্পিক গেমসের পবিত্র অগ্নির নেতৃত্বে চীন, গ্রীস ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় একটি 'বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ও উচ্চ মানের' পেইচিং অলিম্পিক গেমস উপহার দিতে চাই। আমরা অলিম্পিকের পবিত্র অগ্নি ও সূর্যের আলোর সঙ্গে থেকে চিরকাল মানবজাতির শান্তি, মৈত্রী ও অগ্রগতি অন্বেষণের প্রক্রিয়াকে আলোকিত হোক সেই কামনা করি।'

    মশালে পবিত্র অগ্নি প্রজ্বলনের পর হাতে জলপাইয়ের শাখা ধরা একটি বালকের নেতৃত্বে যাজকরা পবিত্র অগ্নি নিয়ে হেরাইওন ত্যাগ করে নিকটবর্তী প্রাচীন অলিম্পিক অ্যাম্ফিথিয়েটারের পাশের পাহাড়ের পাদদেশে যান। এরপর ঢাক ঢোলের তালে তালে ছয় জন সুদর্শন পুরুষ যাজক আসেন। তারা পাহাড়ের পাদদেশে নৃত্য পরিবেশন করেন। তারা নানা রকম অলিম্পিক প্রতিযোগিতার অভিনয় করে দেখান। এরপর সর্বোচ্চ নারী যাজক মারিয়া নাফপ্লিওতু আবার সেখানে আসেন। তিনি হাতে অগ্নিশিখা রাখার পাত্র নিয়ে যাজকদের সারি অতিক্রম করে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে মন্থর গতিতে নেমে আসেন। তিনি প্রথম মশালধারী নতজানু হয়ে দাঁড়ানো গ্রীসের বিখ্যাত খেলোয়াড় আলেক্সান্ডার নিক্লাদায়েসের সামনে এসে অগ্নিশিখা দিয়ে নিক্লাদায়েসের হাতের পেইচিং অলিম্পিক গেমসের 'সুখী মেঘ' মশালে অগ্নি প্রজ্বলন করেন। এরপর সর্বোচ্চ নারী যাজক নাফপ্লিওতু প্রাচীন গ্রীস ভাষায় মশালধারীকে বলেন, সারা বিশ্বের মানুষকে জানিয়ে দিন, অলিম্পিক গেমস আসছে।'