বসনিয়া-হার্জেগোভিনা যুগোস্লাভিয়ার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত। দেশটি ক্রোয়েশিয়া এবং সার্বিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন। আয়তন ৫১ হাজার ১২৯ বর্গকিলোমিটার।
লোকসংখ্যা ৪০. লাখ ১০ হাজার। এর মধ্যে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা লোক ৬২.৫ শতাংশ এবং সার্বিয়র ৩৭.৫ শতাংশ। সংখ্যাগড়িষ্ঠ অধিবাসী ইসলাম ধর্মাবলম্বী, অন্যান্যরা প্রটের্স্ট্যাল্ট এবং ক্যাথলিক ধর্মে বিশ্বাসী। সরকারী ভাষা বসনীয়, সার্বিয় এবং ক্রোয়েশিয়।
রাজধানি সারাজেভো, যা বসনিয়া-হার্জেগোভিনার প্রথম বৃহত্তম শহর। সারা দেশের রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে সারাজেভো আরও হচ্ছে বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় আন্তর্জাতিক সংস্থা অধ্যুষিত স্থান। আয়তন ১৪২ বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা ৪ লাখ ৫০ হাজার।
১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর, ১৯২৯ সালে যুগোস্লাভিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়। বসনিয়া-হার্জেগোভিনা জুগোস্লাভিয়ার একটি প্রশাসনিক প্রদেশ হিসেবে এর অন্তর্ভূক্ত ছিল। ১৯৪৫ সালে যুগোস্লাভিয়ার বিভিন্ন জাতির জনগণ ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধে বিজয়ী হয়। ১৯৬৩ সালে যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা হচ্ছে যুগোস্লাভিয়ার প্রথম প্রজাতন্ত্রিক দেশ। ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা স্বাধীন হবে কী না সম্পর্কিত গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। বসনিয়া-হার্জেগোভিনীয় জাতি ও ক্রয়েশিয় জাতি এর স্বাধীনতা ঘোষণা করে । তবে সার্বিয় জাতি এর বিরোধীতা করে। ফলে বসনিয়া-বসনিয়া-হার্জেগোভিনার তিনটি জাতির মধ্যে তিনবছরব্যাপী যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯২ সালের ২২ মে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা জাতিসংঘে যোগ দেয়। ১৯৯৫ সালের ২১ নভেম্বর বসনিয়া-হার্জেগোভিনার যুদ্ধ শেষ হয়।
দেশটির খনিজ সম্পদ প্রচুর। খনিজ লোহা এবং কয়লা উত্পাদনের পরিমাণ সর্বোচ্চ। জলসেচ ও বণসম্পদ প্রচুর। বণাঞ্চলের আয়তন মোট আয়তনের ৪৬.৬ শতাংশ।
বসনিয়া-হার্জেগোভিনার ই ইউ ও ন্যাটোয় যোগদান নিজের রাজনৈতিক ক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হয়ে দেখা দিয়েছে। বসনিয়া-হার্জেগোভিনা যুক্তরাষ্ট্র, ই ইউ'র সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়। একই সঙ্গে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা আঞ্চলিক সহযোগিতা এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
১৯৯৫ সালের ৩ এপ্রিল বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। --ওয়াং হাইমান
|