আজকের তিব্বতীরা আধুনিক সভ্যতা এবং ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতার মধ্যে আরামের সঙ্গে বসবাস করছেন । তিব্বতীদের নিজদের সুপার মার্কেট আছে । যাতে লোকজনের টাটকা খাদ্যদ্রব্যের জন্য আর চিন্তা করতে হয় না । পাশাপাশি মোবাইলফোন ও ইন্টারনেট ধাপেধাপে মালভূমির প্রাচীন জাতির নতুন প্রজন্মের দৈনন্দিনের একটি প্রয়োজনীয় অংশে পরিণত হয়েছে । আধুনিক জীবন শুধু শহুরে নাগরিকের জন্য নয় , সেটা ধাপেধাপে প্রত্যন্ত পশুপালন এলাকায়ও বিস্তৃতহয়েছে । প্রত্যন্ত এলাকায় সড়কপথ চালু হয়েছে । পশু পালকদের বাড়িতে বিদ্যুত ব্যবস্থাচালু হওয়ায় পশু পালকরা বাড়িতে বসে টিভি অনুষ্ঠান উপভোগ এবং টেলিফোন করতে পারছেন । বাড়িতেবাড়িতে আধুনিক বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে । তিব্বতীরা বিশুদ্ধ পানি খেতে পারছেন ।
দু বছর ধরে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে কৃষক ও পশু পালকদের আবাসন প্রকল্পে মোট ৭০০ কোটি রেনমিনপি ব্যয় করা হয়েছে । এথেকে প্রায় ৬ লাখ কৃষক ও পশুপালক উপকৃত হয়েছেন ।
পাশাপাশি সরকার বড়বড় মন্দিরের মেরামতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে । বিক্ষুদের স্বাভাবিক ধর্মকান্ড রাষ্ট্রের সমর্থন ও রক্ষা পেয়ে থাকে ।
তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সরকারের চেয়ারম্যান সিয়াংপা পিংছো সম্প্রতি বলেন , তিব্বতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কাজে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে । তিব্বতের ধর্মবিশ্বাস সম্মানের সঙ্গে সংরক্ষণ করা হচ্ছে । তিব্বত এখন উন্নয়নেরইতিহাসের স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেছে । --চুং শাওলি
|