১৬ মার্চ চীনের জাতীয় সিনহুয়া বার্তা সংস্থা "দালাই চক্রের তিব্বতের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা অবশ্যই ব্যর্থ হবে"শীর্ষক একটি নিবন্ধে প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী লাসা শহরের কিছু মানুষ ভাংচুর, লুটতরাজ এবং অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করছে। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট বিভাগ আইন অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ স্থিতিশীল হচ্ছে।
নিবন্ধে আরো বলা হয়, ১০ মার্চ বিকেলে স্থানীয় প্রায় তিন'শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু দেশের আইন ও মন্দিরের রীতিনীতি উপেক্ষা করে লাসা শহরে সহিংসতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়। ১১ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত কিছু মন্দিরের কিছু ভিক্ষু জমায়েত হয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তাদের ওপর পাথর, চুন ও গরম পানি ছুঁড়ে মারে। এতে ডজন খানেক পুলিশ আহত হয়। তাদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশংকাজনক। ১৪ মার্চ কিছু দুষ্কৃতকারী লাসার পা কুও সড়কে জড় হয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী স্লোগান দিতে থাকে এবং নানা ধরণের নাশকতামূলক তত্পরতা চালায়। তারা সরকারী দপ্তর, ব্যাংক, দোকান, গ্যাস স্টেশন এবং বাজারে লুটপাট চালায়। প্রাথমিক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, লাসা শহরে তিনটি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলসহ মোট ২২টি স্থাপনা এবং ডজন খানেক পুলিশের গাড়ি ও বেসামরিক গাড়ি ভাংচুর করেছে। এ সব ঘটনায় ১০ জন নিরীহ লোক নিহত এবং ১২ জন পুলিশ আহত হয়েছে।
নিবন্ধে আরো বলা হয়, তথ্য প্রমাণ থেকে দেখা যায় যে, এবারের নাশকতামূলক তত্পরতা বিদেশে নির্বাসিত দালাই চক্রের উদ্যোগে ঘটেছে। তিব্বত হচ্ছে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এর সঙ্গে একমত। দালাই চক্রের তিব্বতের স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতি ধ্বংস করার অপচেষ্টা অবশ্যই ব্যর্থ হবে। (লিলি)
|