লাসা ১৭ মার্চ, তিব্বতের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবর্গ দালাইলামার তিব্বতে 'সাংস্কৃতিক গণহত্যা' ও 'সন্ত্রাসী শাসন' সম্পর্কিত তথাকথিত বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে।
চীনে বৌদ্ধ সমিতির তিব্বত শাখার সহসভাপতি লাদর নাওয়াং দাইনঝিন বলেছেন, সংবাদ সম্মেলনে দালাইলামা যে কথা বলেছেন তা ভিত্তিহীন ও বাস্তবতা বিরোধী।
তথ্য মাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, গত শুক্রবারের দাঙ্গা সম্পর্কে দালাইলামার সর্বশেষ মন্তব্য ছিল 'সন্ত্রসী শাসন' ও 'সাংস্কৃতিক গণ হত্যা'।
নাওয়াং দাইনঝিন যাকে বর্তমানকালের বুদ্ধ বলা হয়, সেই তিনি বলেছেন, গত অর্ধ শতাব্দীকালে তিব্বতে অনেক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। এখানকার জনগণ সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করছে। তাদের জীবনযাত্রার মানও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কেউ তিব্বতে গেলেই তা উপলব্ধি করতে পারবেন।
তিনি বলেন, দালাইলামার সাংস্কৃতিক গণ হত্যার কথা ভূয়া ও অকল্পনীয়।
তিনি গত শুক্রবারে যারা নুটতরাজ, জ্বালাও-পোড়াও ও দাঙ্গা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৩জন নিরিহ নাগরিক নিহত হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা আসলে বৌদ্ধ ভিক্ষু নয়। তারা যা করেছে, তা বৌদ্ধ ধর্মের পরিপন্থি।
জ্ঞানদান মন্দিরের আরেকজন বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা তাবদিয়ান তারগাই বলেছেন, মন্দিরের তত্ত্বাবধান ও সংরক্ষণই হচ্ছে তিব্বতের সংস্কৃতির সংরক্ষণ।
তিনি আরও বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীন সরকার তিব্বতের ঐতিহ্যিক পূরাকীর্তি ও মন্দিরগুলোর সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান অর্থ বরাদ্দ করেছে, যা তিব্বতের সংস্কৃতিকে সুরক্ষার শামিল। (আবাম ছালাউদ্দিন)
|