২০০৭ সালের প্রথমার্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার চীনে রপ্তানির মোট পরিমাণ পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। চীন হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার পঞ্চম রপ্তানিকৃত দেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার শুল্ক ব্যুরো প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পরিসংখ্যানে বলা হয়, চীনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান রপ্তানিকৃত পণ্য হচ্ছে খনিজ লোহা এবং কয়লা। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ব্রিটেনে প্রধান রপ্তানিকৃত পণ্য হচ্ছে রত্ন এবং ধাতুজাতীয় পণ্য। জার্মানিতে যান্ত্রিক পণ্য।
একই সঙ্গে চীনও দ্রুতভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আমদানিকারী দেশ হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ২০০৭ সালের প্রথমার্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানির মোট পরিমাণ হয়েছে ৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার,যা ২০০৬ সালের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি।
দক্ষিণ আফ্রিকার সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, চীন-দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মোট পরিমাণ হিসাব করলে দেয়া যায় চীন হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। এর আগে রয়েছে জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র।
২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের কিছু কিছু কর্মকর্তা বলেছেন, চীনে দক্ষিণ আফ্রিকার রপ্তানি বৃদ্ধির হার আমদানি বৃদ্ধির হারের তুলনায় বেশি। দু'দেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীতনা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-আফ্রিকার বাণিজ্য ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি হয়েছে। ২০০৭ সালে দু'দেশের বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দক্ষিণ আফ্রিকায় চীনের দুতাবাসের অর্থমন্ত্রী লিং কুই রু প্রিটোরিয়ায় সিনহুয়া বার্তা সংস্থার একজন সংবাদদাতাকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন , চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার বাণিজ্যের ব্যাপক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় চীনের রপ্তানিকৃত পণ্যগুলোর কাঠামোরও কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। রপ্তানিকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে বস্ত্র থেকে শুরু করে যান্ত্রিক পণ্য রয়েছে । এতে উন্নত প্রযুক্তিগত পণ্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৬ সালের শেষ নাগাদ, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিপক্ষীয় পুঁজি বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ১.৩১ মার্কিন ডলার। দক্ষিণ আফ্রিকায় চীনের পুঁজি বিনিয়োগে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০০টি।এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, কৃষি ,যন্ত্র,খাদ্যদ্রব্য এবং খনিজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র।--ওয়াং হাইমান
|