v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-13 18:52:37    
'২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রেরমানবাধিকার রিপোর্ট' চীনে প্রকাশিত

cri
    ১১মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ' ২০০৭ সালের মানবাধিকার রিপোর্টে চীনের মানবাধিকারের অবস্থা বিকৃত করেছে এবং যুক্তিহীন অভিযোগ করেছে । ১৩ মার্চ চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য কার্যালয় ' ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট' নামে একটি বিবরণী প্রকাশ করেছে । এতে চীনের মানবাধিকার বিষয়ে ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভিত্তিহীন অভিযোগ খন্ডন করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকারের আসল অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে ।

     যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টে চীনসহ বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের মানবাধিকারের অবস্থা সম্পর্কেঅভিযোগ করা হলেও , তবু নিজের মানবাধিকার সমস্যা সম্পর্কে টু শব্দটিও উল্লেখ করা হয় নি । ১২ মার্চ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিংকান এ বিষয়ে সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় বলেন , চীন সমতা ও পরস্পরকে মর্যাদা প্রদর্শনের ভিত্তিতে মানবাধিকার বিষয় নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংলাপ ও মতবিনিময় করতে আগ্রহী , তবে চীন মানবাধিকার সমস্যা কাজে লাগিয়ে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার ঘোর বিরোধী ।

    ছিংকান উল্লেখ করেন , যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত মানবাধিকার রিপোর্টে চীনের মানবাধিকারের অবস্থা , চীনের সংখ্যালঘু জাতি , ধর্ম ও আইন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে । চীনের মানবাধিকার গবেষণাগারের মহাসচিব তোং ইয়ুন হু বলেন , আমি মনে করি যুক্তরাষ্ষ্ট্রেরঅন্য দেশের মানবাধিকার সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রকাশের আসল উদ্দেশ্য হলো বিশ্ব মানবাধিকার কাজের প্রসার তরান্বিত করা নয় , বরং অন্যেরমানবাধিকার সমস্যার ওপর নজরদারি করে তাকে কাজে লাগিয়ে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা , অন্য দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং নিজের আন্তর্জাতিক কূটকৌশল চরিতার্থ করা ।

    চীন সরকারের যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকারের ওপর রিপোর্ট প্রকাশের তাত্পর্য সম্পর্কে তোং ইয়ুন হু বলেন , চীনের যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রেকর্ড প্রকাশের প্রথম উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববাসীকে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রেকর্ড বিবেচনার একটি জানালা খুলে দেওয়া , যাতে সবাই এ জানালা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার অবস্থা জানতে পারেন । আরেকটি উদ্দেশ্য হল মার্কিন সরকারের জন্য একটি আয়না দেয়া , যাতে মার্কিন সরকার এ আয়নায় নিজ দেশের মানবাধিকার সমস্যার চেহারাটা দেখতে পাবে ।

    চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ প্রকাশিক এই রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার অবস্থার সাতটি দিক তুলে ধরা হয়েছে । যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা দ্রুত বাড়ছে এবং মানুষের জীবন , স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে । যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিভাগগুলোতে ক্ষমতার অপব্যবহারের অবস্থা গুরুতর । মার্কিন কারাগারে বন্দী নিযাতনের ঘটনা ব্যাপক। যুক্তরাষ্ট্রে গরীবের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে । ২০০৬ সালের শেষ দিকে একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি৮জন নাগরিকের মধ্যে একজন গরীব । যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবৈষম্য পুরনো সমস্যা , কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘু জাতির মানুষ মার্কিন সমাজের সবচেয়ে নীচে থাকে , কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ কম । ২০০৩ সাল থেকে ইরাক যুদ্ধে মোট ৬.৬ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে , প্রতি দিন গড় সাড়ে চার শ' মানুষ নিহত হয়েছে ।

    তোন ইয়ুন হু বলেন , যুক্তরাষ্ট্র সবসময় নিজেকে মানবাধিকারের রক্ষক হিসেবে গণ্য করে , কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর মানবাধিকার সমস্যা আছে , এটা তার বৃহত্ দেশের অবস্থানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় । চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন , মার্কিন সরকারের উচিত নিজেকে মানবাধিকারের রক্ষক হিসেবে অন্যদেশের মানবাধিকার নিয়ে অভিযোগ তোলার আগে নিজ দেশের মানবাধিকার সমস্যা বিবেচনা করা , মানবাধিকার বিষয়ে দ্বৈত মানদন্ড সৃষ্টি না করা এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা।