বর্তমানে পেইচিংয়ে চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেস এবং গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের বার্ষিক অধিবেশন চলছে। অংশগ্রহণকারী কয়েক হাজার প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি গ্রুপ বাড়তি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই গ্রুপের প্রতিনিধিরা এসেছেন বৌদ্ধ,তাও,ইসলাম,ক্যাথলিক ও খৃষ্টান ধর্ম থেকে । তাঁদের নিয়ে গঠিত চীনের ধর্মীয় শান্তি কমিটি রাজনৈতিক পরামর্শ পরিষদের বৈদেশিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফরমে পরিণত হয়েছে।(০)
১৯৯৪ সালে চীনের বৌদ্ধ ধর্মের নেতা চাও পু ছুর উদ্যোগে চীনের ধর্মীয় শান্তি কমিটি গড়ে ওঠে। এর লক্ষ্য হলো চীনের বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রুপ ও বিশ্বাসীকে সংগঠিত করে বিশ্ব শান্তি সুরক্ষা করা ও শান্তিপূর্ণ কর্মকান্ডে যোগ দেয়া। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মীয় শান্তি সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময়ের মাধ্যমে যৌথভাবে বিশ্ব শান্তি সুরক্ষা ও ত্বরান্বিত করা। বর্তমানে এই কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন চীনের খৃষ্টান ধর্মীয় নেতা তিং কুয়াং স্যুন।
ধর্মীয় শান্তি কমিটির স্থায়ী ভাইস চেয়ারম্যান ও চীনের বৌদ্ধ ধর্মীয় পরিষদের উপ পরিচালক শেং হুই বলেছেন, চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ পরিষদের অংশ হিসেবে ধর্মীয় শান্তি কমিটি রাজনৈতিক পরামর্শ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেছেন,(১)
চীনের ধর্মীয় শান্তি কমিটি চেয়ারম্যান তিং কুয়াং স্যুন ও সভাপতি মান্ডলীর নেতৃত্বে মৈত্রী, শান্তি, উন্নয়ন ও সহযোগিতার ভিত্তিতে নতুন অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। চীনের ধর্মীয় শান্তি কমিটি রাজনৈতিক পরামর্শ পরিষদের বৈদেশিক বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফরমে পরিণত হয়েছে।
বিশ্ব ধর্মীয় শান্তি সম্মেলন এবং ধর্মীয় শান্তি এশীয় সম্মেলনসহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ধর্মীয় সম্মেলনে উপস্থিত থাকা হলো চীনের ধর্মীয় শান্তি কমিটির বৈদেশিক বিনিময়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ পর্যন্ত জাতীয় গণ রাজনৈতিক পরামর্শ পরিষদের সদস্য, ধর্মীয় শান্তি কমিটির উপ মহাসচিব গুরু স্যুয়ে ছেং ২০০৬ সালে অষ্টম ধর্মীয় বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের কথা স্মরণ করে বলেছেন, (২)
সে বছর জাপানে অনুষ্ঠিত অষ্টম ধর্মীয় বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে চীনের শান্তি কমিটির পাঁচটি ধর্মের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে আমি শান্তি কমিটির পক্ষ থেকে ভাষণ দিয়েছিলাম। ভাষণের প্রসঙ্গ হলো ধর্মীয় জ্ঞান এবং শান্তি ও নিরাপত্তা ভাগাভাগি করা। ধর্ম ক্ষমাশীলতা সম্মান প্রদর্শনের যে শিক্ষা দেয় তা কেবল বিশ্বাসী নয়, বরং ধর্মে বিশ্বাস নেই এমন মানুষের জন্যও শিক্ষনীয়। ধর্মীয় শিক্ষা সমাজের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য খুব কল্যাণকর। আমার ঐ প্রস্তাব বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় নেতাদের প্রশংসা পেয়েছিল।
বিশ্ব ধর্মীয় শান্তি তত্পরতা যোগ দেয়ার একমাত্র সংস্থা হিসেবে চীনের ধর্মীয় শান্তি কমিটি দেশের ধর্মীয় মহলের জন্য আন্তর্জাতিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে এবং এশিয়া ও বিশ্বের ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মর্যাদা আরো বাড়িয়েছে। শান্তি কমিটির স্থায়ী ভাইস চেয়ারম্যান, চীনের বৌদ্ধ ধর্ম পরিষদের উপ পরিচালক শেং হুই বলেছেন, (৩)
চীনের ধর্মীয় শান্তি কমিটি বৈদেশিক বিনিময়, ঐক্য সুরক্ষা, সমাজের সুষম তা ত্বরান্বিত করা এবং বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়ন সুরক্ষা করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক এবং অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে।
|