v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-12 15:03:16    
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাক দ্বিপক্ষিয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করছে

cri
    ১১ মার্চ ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে , ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা এ দিন দু'দেশের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক নিয়ে বৈঠক শুরু করেছেন । বৈঠকের প্রধান আলোচ্যবিষয় হল ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য মোতায়েন রাখার জটিল সমস্যা । বিশ্লেষকদের ধারণা , চলতি মাসের ২০ তারিখ হচ্ছে ইরাকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ শুরু করার পঞ্চম বার্ষিকী , এ উপলক্ষে বিভিন্ন পক্ষ এ বৈঠকের ওপর নিবিড় দৃষ্টি রাখেছে ।

    যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাক আসলে অনেক আগেই আলোচনার পর্যায়ে প্রবেশ করেছে । গেলো বছর আগস্ট মাসে দু'পক্ষ তাদের আলোচনা অব্যাহত রাখে । এবারের বৈঠক হল সে ধারাবাহিক বৈঠকের মধ্যে বৃহত্তম বৈঠক । গত বছরের ২৬ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাবলিউ বুশ ও ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি একটি দলিলে স্বাক্ষর করেছে । এ দলিলে দু'দেশের রাজনীতি , অর্থনীতি ও নিরাপত্তা সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত রয়েছে । আলোচনাটি চলতি বছরের জুলাই মাসে শেষ করা এবং আগস্ট মাসে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করার কথা ।

    ২০০৩ সালের ২০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশ জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া সাদ্দাম হুসেইনের প্রশাসনকে উত্খাত করার উদ্দেশ্যে ইরাকে যুদ্ধ শুরু করে । একই বছরের অক্টোবর মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ১৫১১ নং প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি বহুজাতিক বাহিনীকে ইরাকে মোতায়েনের অনুমোদন দেয়া হয় , যাতে ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতি রক্ষা করা যায় । আসলে এ সিদ্ধান্ত ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য মোতায়েনকে যুক্তিযুক্ত করেছে । এর পর জাতিসংঘে গৃহীত ১৭৯০ নং প্রস্তাব ইরাকে মোতায়েন বহুজাতিক বাহিনীর কার্যমেয়াদ চলতি বছর শেষ নাগাদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে । বহুজাতিক বাহিনীর কার্যমেয়াদ তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে ইচ্ছুক , যাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ইরাকে থেকে যেতে পারে । সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র এবার দু'দেশের আলোচনায় প্রধানত ইরাকে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চায় । এর পাশা পাশি তারা ভবিষ্যতে দু'দেশের সম্পর্কের উন্নয়নের ধারাবাহিক নীতি প্রণয়ন করবে ।

    যুক্তরাষ্ট্র আশা করে এবার আলোচনায় ইরাকে মার্কিন বাহিনীর দীর্ঘস্থায়ী মোতায়েন রাখা বাস্তবায়ন করতে পারবে ।এর আসল লক্ষ্য হল মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামরিক স্বার্থ রক্ষা করা ।

    তবে ইরাক সরকারের এ সমস্যায় বিরাট মতানৈক্য রয়েছে । কিছু কিছু কর্মকর্তা মনে করেন , ইরাকের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত অংশিদারি সম্পর্ক স্থাপন করা এবং মার্কিন বাহিনীর দীর্ঘস্থায়ী মোতায়েনকে অনুমোদন দেয়া , যাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বিনিময় করা যায় । তবে ইরাক সরকারের আরো বেশ কিছু কর্মকর্তাদের ধারণা হল , মার্কিন বাহিনীকে ইরাক থেকে চলে যেতে হবে । ইরাকের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোওয়াফাক আল রুবাই বলেছেন , ইরাক কোনোমতেই ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী সামরিক ঘাঁটি স্থাপনে অনুমোদন দেবে না । তিনি বলেন , তা হল অবিচল সিদ্ধান্তে নির্দিষ্ট একটি লাইন । তা ছাড়া , ইরাকের প্রধান শিয়া রাজনৈতিক দল মুকতাদা আল সাদর আন্দোলনও মার্কিন বাহিনীর মোতায়েনের দৃঢ় বিরোধীতা করে এবং এর জন্য ইরাক সরকারের বিরোধীতা করে ।

    এক কথায় , এবারে আলোচনায় মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার বা অবস্থানগত সমস্যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের মতানৈক্য দূর করা খুব কঠিন হবে । এবারের আলোচনায় খুব সম্ভবত অনেক সময় লাগবে । তথ্য মাধ্যম মনে করে , এ বারের আলোচনা শুধু দু'দেশের ভবিষ্যতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই নই , বরং আঞ্চলিক পরিস্থিতির ওপর প্রভাবও ফেলবে । (শুয়েই ফেই ফেই)