v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-10 15:45:41    
২০০৭ সালের পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের "চীনা কাপে স্বাগতম" গান গাওয়ার প্রতিযোগিতা

cri
    তিব্বতের গান "ছিংহাই-তিব্বত মালভূমি" শোনার সঙ্গে সঙ্গে ২০০৭ সালের পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের "চীনা কাপে স্বাগতম" শীর্ষক গান গাওয়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। গায়ক লিন ওয়েন সুন তাঁর গানের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে তিব্বতের এই রহস্যময় স্থানে নিয়ে যান।

    লিন ওয়েন সুন মালয়েশিয়া থেকে এসেছেন। বর্তমানে তিনি চীনা সংগীত ইনস্টিটিউটে চীনের জাতীয় সংগীত শিখছেন। তাঁর বাবার প্রভাবে ছোট বেলা থেকেই লিন ওয়েন সুন চীনের জাতীয় গানের ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। চীনে আসার পর তিনি চীনের জাতীয় গানকে আরো সার্বিক ও গভীরভাবে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।

    ২০০৭ সাল পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের "চীনা কাপে স্বাগতম" শীর্ষক গান গাওয়ার প্রতিযোগিতা অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয়। পেইচিংয়ের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দু শো বিদেশী ছাত্র-ছাত্রী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। তারা দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, মালয়েশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়াসহ ৩৫টি দেশ থেকে এসেছেন।

    বারবার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৬জন পরীক্ষার্থী চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় উঠেছেন। সম্প্রতি চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা পেইচিংয়ের কেন্দ্রীয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত হলে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় পরীক্ষার্থীরা নানা ধরণের গান গেয়েছেন। কেবল চীনের জাতীয় গান আছে তা নয়, বরং চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোও রয়েছে।

    দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা পেইচিং শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশী ছাত্র নোহ সেউং উ চীনের জনপ্রিয় গান "আই বিলীভ" গাওয়ার মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেছেন, চীনের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার কারণে তিনি চীনে এসে চীনা ভাষা ও চীনের সংস্কৃতি শিখছেন। যদিও তিনি চীনে শুধু তিন মাস ধরে আছেন। তবুও তিনি চীনে লেখাপড়ার পরিবেশে আরাম বোধ করেন। তিনি চীনকে খুব পছন্দ করেন। আমি এ প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজের চীনা ভাষার মানকে উন্নত করার ক্ষেত্রে সহায়তা পেয়েছি। তিনি বলেছেন, (২)

    এ রকম প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে আমি চীনা ভাষা ও চীনের সংস্কৃতিকে জানা ও বুঝাব অপূর্ব সুযোগ পেয়েছি। আমি আই বিলীভ এই গান গাইতে পারা ছাড়াও, অন্যান্য চীনা গানও শিখেছি।

    এবারের প্রতিযোগিতার একজন আয়োজক,পেইচিং উচ্চ শিক্ষা সমিতির হো সিয়াং মিন প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বলেন, বেশির ভাগ বিদেশী ছাত্রছাত্রীই চীনে এসে চীনা ভাষা বা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাশাপাশি চীনের সংস্কৃতির দ্বারা আকৃষ্ট হন। বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের গান গাওয়ার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এক দিকে যেমন তাদের লেখাপড়া ও জীবন সমৃদ্ধ হয়েছে, অন্য দিকে তাদের মধ্যে সমঝোতা ও বিনিময়ও বেড়েছে। তারা চীনের সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহকে ঝালিয়ে নিয়ে পারে। পরীক্ষার্থীদের গানে আমরা চীনের প্রতি তাদের ভালোবাসা অনুভব করেছি।

    প্রতিযোগিতার উপস্থাপক ক্যামেরুন থেকে আসা বিদেশী ছাত্র ফ্রানসিস ছিক বলেছেন, তার চীনে আসার কারণ হচ্ছে তিনি চীনের সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে বিস্ময়পূর্ণ ও সানন্দ দৃষ্টিতে দেখেন। তিনি বলেছেন, (৩)

    আমি মনে করি, চীনের সংস্কৃতি খুব গভীর। আগে আমরা মনে করতাম, অন্যান্য দেশের সঙ্গে চীনের ব্যাপক পার্থক্য নেই। তবে চীনে আসার পর আমি অনুভব করেছি যে, চীনের সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ। চীনে বসবাস করার চার বছরে আমি অনেক বেশি জানতে ও বুঝতে পেরেছি। বিশেষ করে, তাদের জীবন যাত্রা। আমি প্রস্তাব করছি যে, আরো বিদেশীদের চীনে আসা উচিত। চীন খুব মহান।

    অবশেষে ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা চারজন বিদেশী ছাত্র-ছাত্রী প্রথম স্থান লাভ করেন। পরীক্ষার দায়িত্ব পালনকারী কেন্দ্রীয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ইনস্টিটিউটের উপাচার্য অধ্যাপক মেং সিন ইয়াং বলেছেন, এবারের প্রতিযোগিতা খুবই প্রতিদ্বান্দিতাপূর্ণ ছিল। তিনি বলেছেন

    এবারের পরীক্ষার্থীদের মান চমত্কার। এসব বিদেশী আমাদের চীনা সংস্কৃতিকে গভীরভাবে বুঝতে পারেন। তাঁরা কেবল ভাষা বলতে পারেন তাই নয়, বরং তাঁরা গানের বিষয়বস্তুকেও গভীরভাবে বুঝতে পারেন। সুতরাং আমি আনন্দ ও বিস্মিত বোধ করি।

    পেইচিং উচ্চ শিক্ষা সমিতির হো সিয়াং মিন বলেছেন, পেইচিংয়ের ৬০ হাজারেরও বেশি বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া ও জীবনকে সমৃদ্ধ করার জন্য পেইচিং উচ্চ শিক্ষা সমিতি প্রতি বছর " চীনা কাপে স্বাগতম"-এর প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকে। ২০০৭ সালের গান গাওয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগে নৃত্য ও টেবিল টেনিসসহ নানা রকম প্রতিযোগিতাও আয়োজিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব প্রতিযোগিতা অব্যাহতভাবে অনুষ্ঠিত হবে। যাতে বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীরা চীনের সংস্কৃতিকে আরো গভীরভাবে জানতে ও বুঝতে পারে।