v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-10 11:42:52    
পাকিস্তানের দুটি রাজনৈতিক দল জোট সরকার প্রতিষ্ঠা করবে

cri
    ৯ মার্চ পাকিস্তানের দু'টি রাজনৈতিক দল পিপিপি এবং পিএমএল(এন) পূর্বাঞ্চলের মুরিতে বৈঠক করেছে । বৈঠকের পর দু'পক্ষ একটি জোট সরকার প্রতিষ্ঠার বিবৃতি প্রকাশ করেছে ।

    বিবৃতিতে বলা হয়, পিএমএল(এন) পিপিপি'র নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারে অংশ নেবে এবং নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী পিপিপি থেকে মনোনীত হবে । বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার ৩০ দিনের মধ্যে জাতীয় পার্লামেন্ট গত ৩ নভেম্বরের জরুরী অবস্থা জারির পর পদত্যাগ করা বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারপতিদের দায়িত্বে নিয়োগ করার জন্য একটি প্রস্তাব গ্রহণ করবে । বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নতুন জাতীয় পার্লামেন্টের স্পীকার এবং ভাইস স্পীকার পিপিপি থেকে মনোনীত হবেন এবং পাঞ্জাব প্রদেশের পার্লামেন্টের স্পীকার ও ভাইস স্পীকার পিএমএল(এন) থেকে মনোনীত হবেন। পিপিপি পিএমএল(এন)'র নেতৃত্বাধীন পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারে অংশ নেবে ।

    ফেব্রুয়ারী মাসে পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী পিপিপি এবং পিএলএম(এন) পৃথক পৃথকভাবে জাতীয় পার্লামেন্টের বৃহত্তম ও দ্বিতীয় পার্টিতে পরিণত হয়েছে । এপর দু'পাটি জোট সরকার গঠন নিয়ে বহুবার বৈঠক করেছে । বিশ্লেষকরা মনে করেন, পিপিপি এবং পিএমএল(এন)'র আলোচনার মূল বিষয় হল কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক সরকার বিশেষ করে পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ পাঞ্জাবে দু'পক্ষের ক্ষমতা ভাগা ভাগির পদ্ধতি । পিপিপি পার্লামেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট অর্জন করায় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় পার্লামেন্টের স্পীকার এবং ভাইস স্পীকারের পদ লাভ করবে । তবে পাঞ্জাব প্রদেশে লোকসংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলে সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিদ্বন্দিতা সবসময় প্রখর ছিল । পিএমএল(এন) এ প্রদেশের পার্লামেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে এবং জাতীয় পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্টিতে পরিণত হয়েছে ।

    দু'পক্ষের আলোচনার আরকেটি কেন্দ্রীয় বিষয় ছিলো পিপিপি বিচারপতিদের দায়িত্ব নিয়োগ করার প্রশ্নে পিএমএল(এন)কে সমর্থন করে কিনা । গত ৩ নভেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করার ঘোষণা করে সংবিধান স্থগিত করেছেন এবং সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিসহ ১২জন বিচারপতিকে বরখাস্ত করেন । এ সম্পর্কে পিএমএল(এন) বিচারপতিদের পুনরায় নিয়োগ করার অনুরোধ জানায় এবং পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর পারভেজ মুশাররফকে পদত্যাগের আহ্বান জানায় । তবে পিপিপি বিচারপতিদের দায়িত্বে পুনরায় নিয়োগ করা সম্পর্কে কঠোর মনোভাব প্রকাশ করে নি । জাতীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর পরই দু'পক্ষ এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে । পিএমএল(এন) পিপিপি'র সমর্থন পেতে চায় । পিপিপি'র এ বিষয়ে পিএমএল(এন)'র মনোভাব সমর্থন করার কথা ঘোষণা করা হলো এ পর্যায়ে দু'পক্ষের বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য ।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন, বর্তমানে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আরো দু'টি বিষয়ে মনোযোগী হওয়া উচিত । প্রথমত: কে হবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী এবং দ্বিতীয়ত: নতুন জাতীয় পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন কবে শুরু হবে । যদিও পিপিপি এবং পিএমএল(এন) নতুন প্রধানমন্ত্রী পিপিপি'র মনোনীত করতে রাজি হয়েছে,  তবুও পিপিপি'র অভ্যেন্তরে নতু প্রধানমন্ত্রীর পদ প্রার্থী সম্পর্কে এখনো মতভেদ রয়েছে ।

    পিপিপি'র কো চোয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি ২০ ফেব্রুয়ারী ঘোষণা করেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন না । এর আগে সিন্ধু প্রদেশের পিপিপি'র ভাইস চেয়ারম্যান মাখদুম আমিন ফাহিমকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হয় । তবে পিপিপি'র কিছু সদস্য মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে নির্বাচন করা উচিত । যাতে পাঞ্জাব প্রদেশে পিপিপির প্রভাব বাড়ানো যায় ।এর পাশাপাশি নতুন জাতীয় পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন আয়োজনের সময়ও ঘোষিত হয় নি । পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনমন্ত্রী আফজাল হায়দার ৮ মার্চ বলেছেন, পার্লামেন্ট সম্মেলন সম্ভবত ১৩ বা ১৪ মার্চ আয়োজিত হবে । তবে সঠিক সময়ের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ সিদ্ধান্ত নেবেন ।

    (ছাও ইয়ান হুয়া)