২০০৫ সালের মার্চ মাসে কারোলোস পাপৌলিয়াস গ্রীসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের মার্চ মাসে কনস্টানডিনোস কারামানলিস গ্রীসের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে পুঃর্নির্বাচিত হন।
গ্রীস বলকান উপদ্বীপের সবচেয়ে দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। দেশটির আয়তন ১ লাখ ৩২ হাজার বর্গকিলোমিটার। তার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে আইওনিয়া সাগর, পূর্ব দিকে আজিয়ান সাগর, দক্ষিণ দিকে ভূমধ্য সাগর ও আফ্রিকার মূলভূভাগ সংলগ্ন। অলিম্পিস পাহাড় গ্রীস পৌরাণিক কাহিনীতে বর্ণিত দেবতাদের জায়গা বলে উল্লেখ রয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ পাহাড় হচ্ছে সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় ২ হাজার ৯১৭ মিটার উঁচু । দেশটিতে সবসময় গ্রীষ্মমন্ডলীয় আবহাওয়ায় বিরাজমান।
লোকসংখ্যা ১ কোটি ১১ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশ হচ্ছে গ্রীস। অভিবাসীদের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। সারা দেশে ১৩টি বৃহত্তম শহর এবং ৫২টি অঙ্গরাজ্য রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ম্যাসিডোনিয়া, মধ্য ম্যাসিডোনিয়া, পশ্চিম ম্যাসিডোনিয়া, আইওনিয়া দ্বীপপুন্জ , পশ্চিম গ্রীস, মধ্য গ্রীস, উত্তর আজিয়ান সাগর এবং দক্ষিণ আজিয়ান সাগর।
১৯৭৫ সালের ১১ জুন দেশটিতে সংবিধান আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় । সংবিধানে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের কার্যমেয়াদ হচ্ছে পাঁচ বছর। ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে গ্রীসের পার্লামেন্টে ই ইউ'র সংবিধান গৃহীত হয়। এটি হচ্ছে এ সংবিধানের অনুমোদনে ই ইউ'র ২৫টি সদস্য দেশের মধ্যে গ্রীস ষষ্ঠতম।
গ্রীস হচ্ছে ই ইউ'র দেশগুলোর মধ্যে অর্থনীতিতে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে । দেশটির অর্থনৈতিক ভিত্তি দুর্বল। প্রধান খনিজ সম্পদের মজুদের পরিমাণ মাত্র ১ বিলিয়ন টন। বনাঞ্চলের আয়তন দেশটির মাত্র ২০ শতাংশ । শিল্পকারখানা ই ইউ'র অন্যান্য দেশের তুলনায় তেমন বেশি নয়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হচ্ছে খনিজ, ধাত্যুবিদা, বস্ত্র, জাহাজ নির্মাণ এবং গৃহনির্মাণ প্রকল্প। সেবা শিল্পপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
১৯৭২ সালের ৫ জুন গ্রীসের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা সম্পর্কের স্থিতিশীল উন্নয়ন হচ্ছে। এতে দু'দেশের পারস্পরিক আস্থাও জোরদার হচ্ছে। চীনের শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে চীন ও গ্রীসের বাণিজ্যিক লেন-দেনের মোট পরিমাণ ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।--ওয়াং হাইমান
|