কলম্বিয়র ইকুয়েডরের সীমান্ত অতিক্রম করে সরকার বিরোধী সশস্ত্র যোদ্ধাকে দমনের জন্য সংঘটিত উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির অব্যাহত অবনতি হচ্ছে। ৬ মার্চ নিকারাগুয়াও কলম্বিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করে। একই সঙ্গে কলম্বিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে ইকুয়েডর ও ভেনিজুয়েলার সৈন্য মোতায়েন অব্যাহত রয়েছে।
কলম্বিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রেক্ষাপটে নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্টেগা বলেন, এটি যেমন কলম্বিয়ার সামরিক তত্পরতার প্রতিবাদে ইকুয়েডরকে সমর্থন, তেমনি আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অনুসরণ এবং স্বদেশের সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করবে ।
জানা গেছে, এদিন আনডিয়ান পার্লামেন্ট এক বিবৃতিতে ইকুয়েডর ও কলম্বিয়াকে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনপ্রতিষ্ঠার সংলাপ চালানোর আহ্বান জানিয়েছে । বর্তমান সংকট নিরসণের জন্য বিবৃতিতে এ ঘটনার ওপর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশগুলোকে পরিস্থিতির অবনতি এড়ানোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে।
৫ মার্চ আমেরিকান দেশসমুহের সংস্থার গৃহীত একটি প্রস্তাবে বলা হয়, কলম্বিয়ার সামরিক তত্পরতা ইকুয়েডরের সার্বভৌমত্বকে লংঘন করেছে। একই সঙ্গে এবারের ঘটনা তদন্তের জন্য আমেরিকান দেশসমুহের সংস্থা একটি বিশেষ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সার্কোজি ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে সংযম বজায় রাখা এবং আলোচনার মাধ্যমে পরস্পরের দ্বন্দ্ব সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।--ওয়াং হাইমান
|