v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-05 17:40:26    
নিরাপত্তা পরিষদের নতুন প্রস্তাব নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে ইরান

cri
 ৪ মার্চ ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মেদ আলি হোসেইনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদে তৃতীয় বারের মতো ইরানের ওপর ৩ মার্চ গৃহীত শাস্তি প্রস্তাবের 'কোনো মূল্য' নেই। ইরান অব্যাহতভাবে নিজের পরমাণু কর্মসূচী এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইরানের এই অবস্থানের অর্থ হচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নতুন প্রস্তাব নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে নতুন দফা বিতর্কে জড়িয়ে পড়া।

বিবৃতিতে আলি হোসেইনি আরো বলেন, 'এই প্রস্তাব আই এ ই এ'র চেতনা ও সনদের পরপন্থী এবং রাজনৈতিক উদ্দেশে গৃহীত হয়েছে। সুতরাং এটা মূল্যহীন এবং এর নিন্দা করা উচিত। তিনি বলেন, ইরানী জনগণ ও সরকারের বৈধ অধিকার হিসেবে পরমাণু কর্মসূচী উন্নয়নের সংকল্প প্রভাবিত হবে না।

একই দিন ইরানের পরমাণু আলোচনার সাবেক মুখ্য প্রতিনিধি আলি লারিজানিও বলেছেন, ইরানের পার্লামেন্ট নির্বাচন আসন্ন। ইরানী জানগণ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবটির জবাব দেবে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ৪ মার্চ হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে নিরাপত্তা পরিষদের সুনাম বলে কিছু থাকবে না।

একই দিন আই এ ই এতে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আলি আজগর সুলতানিয়া বলেছেন, নতুন শাস্তি প্রস্তাব আই এ ই একে সমস্যা নিরসনে ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার দুর্বল করে দেবে এবং আগের সকল চেষ্টা পন্ড হয়ে যাবে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানী এই তিনটি দেশ ৩ মার্চ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ইরানের পরমাণু সমস্যা নিয়ে নতুন প্রস্তাবের খসড়া প্রণয়ন করে। এটা হচ্ছে ইরানের ওপর নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের তৃতীয় প্রস্তাব। নতুন প্রস্তাবে এখনকার নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে ইরানী কর্মকর্তাদের ওপর বাধ্যতামূলক পর্যটন নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য ও আর্থিক শাস্তির আওতা বাড়ানো এবং বিভিন্ন দেশকে ইরানের মালামালকে তল্লাশীর ক্ষমতা দেয়াসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে পাশাপাশি প্রস্তাবে কূটনৈতিক উপায়ে ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত অবকাশ রাখা হয়েছে। প্রস্তাবে আই এ ই এ'র ক্ষমতা জোরদার, ইরানের সঙ্গে এই সংস্থার সহযোগিতার অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দেয়া এবং দু'পক্ষের অব্যাহত সহযোগিতার প্রতি সমর্থন করার কথা বলা হয়েছে।

আই এ ই এ'র মহাপরিচালক মোহামেদ আল বারাদেই নতুন প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তাব অনুযায়ী ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচী আপতত বন্ধ করেছে কিনা তা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন।

কিন্তু ইরান নিরাপত্তা পরিষদের নতুন প্রস্তাবের নিন্দা করলেও আই এ ই এ এর ভূয়সী প্রশংসা করেছে। ইরান মনে করে, আই এ ই এ হচ্ছে ইরানের পরমাণু সমস্যার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার একমাত্র বৈধ আন্তর্জাতিক সংস্থা। ইরান আশা করে, আই এ ই এ'র সঙ্গে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে ইরানের পরমাণু সমস্যা সংস্থাটির কাঠামোর মধ্যে ফিরে আসবে। এতে তার মাথার ওপর থেকে শাস্তির খড়গ দূর করা যাবে।

জনমত এই যে, নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে তৃতীয় শাস্তিমূলক প্রস্তাব গ্রহণের পরও, আই এ ই এ ছাড়াও ইরান ইইউ'র সঙ্গে আলোচনার সুযোগ কাজে লাগাতে চায়, যাতে আরো বেশি শাস্তি এমনকি সশস্ত্র হামলার হুমকি এড়ানো যায়। এ পরিস্থিতিতে ইরানের পরমাণু সমস্যা সংক্রান্ত নতুন লড়াই কোন দিকে গড়ায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।