v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-06 20:47:13    
ছিংতাও'র বিয়ার সড়ক--২

cri
শতাধিক বছরের ছিংতাও বিয়ার কোম্পানির সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ হিসেবে বিয়ার জাদুঘরে শতাধিক বছরের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, উত্পাদন প্রযুক্তি ও বহুমুখী এলাকাসহ মোট তিনটি প্রদর্শনী এলাকা আছে।

এখানে পর্যটকরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ছবি দেখে ও লেখা পড়ে বিয়ারের রহস্যময় সূচনা, ছিংতাও বিয়ারের দীর্ঘ ইতিহাস, অসংখ্য পুরস্কার, ছিংতাও আন্তর্জাতিক বিয়ার উত্সব, দেশী-বিদেশী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ছিংতাও বিয়ার কোম্পানি পরিদর্শন ও সফরের ওপর তথ্য জানতে পারবেন। ইউরোপ ও সারা দেশ থেকে সংগৃহীত পুরাকীর্তির নিদর্শন, ছবি, ছিংতাও বিয়ারের বিভিন্ন পর্যায়ের জিনিসপত্র এখানকার দর্শনীয় বিষয়গুলোর অন্যতম। যাদের পিতৃপুরুষ এখানে কাজ করতেন, সেই সব জার্মানী বা জাপানী বন্ধুদের দেয়া পুরাকীর্তি নিদর্শন ও ইতিহাস প্রদর্শনী এলাকাকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলেছে।

উত্পাদন প্রযুক্তি এলাকায় আপনারা কিছু কিছু পুরনো স্থাপত্য, সাজ-সরঞ্জাম, কর্মশালার পরিবেশ এবং উত্পাদনের অবস্থা দেখতে পাবেন। আগের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার জন্য, পুরনো বিয়ার গাঁজানোর জলাশয়ের কাছে যেখানে কর্মীরা কাজ করতো পাশে সেখানে শ্রমিকদের ভাস্কর্য বসানো হয়েছে।

বহুমুখী এলাকার প্রথম তলা হচ্ছে শতাধিক পর্যটকের এক সঙ্গে বিয়ার আস্বাদন করার জায়গা এবং কেনাকাটার কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন স্বাদের ছিংতাও বিয়ার খাওয়া যায় এবং বিভিন্ন ধরনের স্মারকপণ্য পাওয়া যায়। দ্বিতীয় তলায় বহুমুখী বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। দেশী-বিদেশী পর্যটকরা উত্সবের আনন্দ অনুভব করতে পারবেন, পাশাপাশি টিকিট কিনে এখানে ঢুকলে বিনা পয়সায় বিয়ার খেতে পারবেন। এমনকি স্মারকপণ্য ও পরিদর্শন ম্যাপও পাবেন। তাছাড়া পর্যটকরা জাদুঘরের বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক টাচ স্ক্রীনে নিজেদের আগ্রহের জিনিস খুঁজতে পারেন।

ছিংতাও বিয়ার জাদুঘরে একটি বিশেষ মূল্যবান জিনিস আছে। সেটি হলো বিয়ার বানানোর প্রাচীন বৈদ্যু-তিক সাজ-সরঞ্জাম। এটা হচ্ছে সিমেনস কম্পানির জিনিস। সিমেনস কোম্পানির জন্যও জিনিসটি খুব মূল্যবান। কারণ এটা সিমেনস কোম্পানির উন্নয়নের মূর্ত প্রতীক। এ সব মূল্যবান ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি নিদর্শন ছাড়া জাদুঘরে বিভিন্ন ধরনের মজার বিষয়ও রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নেশা ঘর। পর্যটকরা এখানে নেশা অনুভব করতে পারেন। সেজন্য এই ঘরটি খুব জনপ্রিয়। এখানে আমাদের সঙ্গে পর্যটক লি ওয়েই'র দেখা হয়। তখনই তিনি নেশা ঘর থেকে বের হয়েছেন। দেখতে তাকে খুব নেশাগ্রস্ত লাগছিল। তিনি বলেছেন— খুবই চমত্কার! আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে এসেছি। তারা বলেছেন, তারা কখনো আমার নেশাগ্রস্ত চেহারা দেখে নি। এবার তারা দেখেছে। তবে আমার মাথা ঠান্ডা আছে। মাথা ঠাণ্ডা রেখে নেশা অনুভব করা খুব মজার ব্যাপার।

1 2