v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-04 14:25:24    
ইয়ুন নান প্রদেশের বর্ণাঢ্য সংগীত

cri
    কিছু দিন আগে চীনের প্রায় ত্রিশজন সংগীতবিদ একত্রে মিলে দক্ষিণ- পশ্চিম চীনের ইউয়ুন নান প্রদেশের লোকসংগীত সম্পদ উদ্ধারের বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করেছেন ।

    ইউন নান প্রদেশের লোকসংগীত ' সিয়ানগেরিলা ' একটি বিখ্যাত গান । সিয়ানগেরিলা ইউয়ুন নান প্রদেশের তি ছিং তিব্বত জাতির স্বায়তশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত । সিয়ানগেরিলার প্রাকৃতিক দৃশ্য খুব সুন্দর । সিয়ানগেরিলা সম্পর্কিত অনেক সুন্দর সুন্দর গল্পকথাও রয়েছে। ইউয়ুন নান প্রদেশকে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের একটি মুক্তা বলা যায় । ইউয়ুন নান প্রদেশে প্রচুর পাহাড়-পর্বত ও নদনদী রয়েছে এবং প্রদেশটিপ্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ । চীনে এ প্রদেশেই বসবাসকারী সংখ্যালঘু জাতির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি । ইউয়ুন নান প্রদেশ মানবজাতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উত্পত্তি স্থান । কাজেই এ প্রদেশের ইতিহাস সুদীর্ঘ ।

    গত কয়েক বছরে ইউয়ুন নানের ইতিহাস ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের পটভুমিতে রচিত নৃত্যনাট্য ' ইউয়ুন নানের সৌন্দর্য ' ' ইউয়ুন নানের আকাশ স্পর্শী পাহাড় ' ও ' রঙীন মেঘের নৃত্য ' চীনের বিভিন্ন স্থানে দেখানো হয়েছে এবং দশর্কদের গভীর প্রশংসা পেয়েছে । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংগীত ক্ষেত্রে ইউয়ুন নান প্রদেশের অর্জিত সাফল্য সম্পর্কে ইউয়ুন নান প্রদেশের সাবেক গভর্নর সুই রোন খাই বলেন , ইউয়ুন নান প্রদেশে ২৫টি সংখ্যালঘু জাতি বাস করে । প্রত্যেকটি সংখ্যালঘু জাতির নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে । ২৫টি সংখ্যালঘু জাতির নিজস্ব সংগীত , নৃত্য , উত্সবের রীতিনীতিও রয়েছে । আমি ইউয়ুন নানে গভর্নর হিসেবে সাড়ে পাঁচ বছর কাজ করেছি । এ সম্পর্কে আমি ভালো করে জানি । এখন আমি অবসর নিয়েছি । আমার হাতে সময় বেশি । তাই আমি সুরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে গান রচনার চেষ্টা করছি । আমি প্রধানতঃ গানের কথা লিখি । ইতোমধ্যে আমি দশটি গান লিখেছি ।

    গত কয়েক দশক বছর ধরে ইউয়ুন নানের সংখ্যালঘু জাতির লোকসংস্কৃতি সবসময় চীনের সংগীতবিদদের আকষর্ণ করে । চীনের প্রবীণ সংগীতবিদদের রচিত গান ' ছোট নদী ' ও ' দূরের অতিথি আপনি চলে যাবেন না 'সহ অনেক গান এখনও মানুষের মুখে মুখে । গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে কিছু তরুণ ও মধ্যবয়সী সংগীতবিদ ইউয়ুন নান প্রদেশে গিয়ে স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে বসবাসের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সংস্কৃতির রস গ্রহণ করে লোকসংগীতে আধুনিক শৈলী মেশানোর চেষ্টা করেন । স্থানীয় সংগীতবিদের সৃষ্ট গানগুলো চীনে ও বিদেশে যথেষ্ঠ প্রভাব ফেলেছে । লোকসংগীতবিদ লি সিয়াও কেন তাদের মধ্যে একজন । তিনি বলেন , আমার প্রতিনিধিত্বকারী গানটির নাম ' একটি পাখির বাসা '। আমি স্থানীয় একটি লোকসংগীতের আলোকে এ গান রচনা করেছি । আমার লেখা এ গানের প্রধান বিষয় হল পরিবেশ সংরক্ষণ । গানে আমি লোকসংগীতের উপাদান মেশানোর চেষ্টা করেছি । তাই এ গান লোকসংগীত ও পাশ্চাত্যের আধুনিক গানের শৈলির সমন্বয় রয়েছে । পাশ্চাত্য দেশের কণ্ঠশিল্পীরাও আমার রচিত এ গান গাইতে পারেন ।

    ইউয়ুন নানে গান ছাড়া নৃতনাট্য ও গীতিনাট্যও বেশি । ইউয়ুন নানের লোকসংগীতের ভিত্তিতে রচিত নৃত্যনাট্য বা গীতিনাট্য মালার মত ইউয়ুনের সংস্কৃতির মুক্তাগুলোকেএকত্রিত করে তুলেছে । চীনের বিখ্যাত সুরকার চিয়া তিন বলেন , ইউয়ুনের লোকসংগীতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর বহুমুখীতা । ইউয়ুন নানে বিশ-বাইশটি সংখ্যালঘু জাতি বাস করছে । তাই তার লোকসংগীতে নানা জাতির বৈশিষ্ট্য রয়েছে । আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো ইউয়ুন নান প্রাদেশিক সরকার বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতির লোকসংগীত সংরক্ষণে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে । লোকসংগীতগুলোতে ইউয়ুন নান প্রদেশের পাহাড় , নদী ও সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য প্রতিফলিত হয়েছে । এ সব গান শোনার সময় মনোরম দৃশ্য যেন চোখের সামনে ভাসে । আমি ১৯৮৪ সালে ইউয়ুন নান প্রদেশ ৪০ দিন ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম । সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ আমার রচনায় সাহায্য করেছে । আমি আমার সুরে সেখানকার সংখ্যালঘু জাতির রীতিনীতি ও লোকশিল্পকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি । চীনের দশর্করা টেলিভিশন বা লোকসংগীত প্রতিযোগিতা থেকে ইউয়ুন নানের লোকসংগীতের সৌন্দর্য অনুভব করেছেন । এ সব লোকসংগীতে স্থানীয় অধিবাসীদের জীবন , ধারণা ও আকাংখা প্রতিফলিত হয়েছে ।

1 2