v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-03-03 19:27:37    
পরবর্তী অনুষ্ঠানমালা --- ২০০৮/৩/৩

cri

    ইউয়ুন নান প্রদেশে প্রচুর পাহাড়-পর্বত ও নদনদী রয়েছে এবং প্রদেশটি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। চীনে এ প্রদেশেই বসবাসকারী সংখ্যালঘু জাতির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত কয়েক বছরে ইউয়ুন নানের ইতিহাস ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের পটভুমিতে রচিত নৃত্যনাট্য 'ইউয়ুন নানের সৌন্দর্য', 'ইউয়ুন নানের আকাশ স্পর্শী পাহাড়' ও 'রঙীন মেঘের নৃত্য' চীনের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শিত হয়েছে এবং দর্শকদের গভীর প্রশংসা পেয়েছে। সম্প্রতি চীনের প্রায় ত্রিশজন সংগীতবিদ একত্রে মিলে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউয়ুন নান প্রদেশের লোকসংগীত সম্পদ উদ্ধারের বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করেছেন। ৪ মার্চ সংস্কৃতির সম্ভার আসরে ফেং সিউ ছিয়েন এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন পড়ে শোনাবেন।

    চীনাদের ঐতিহ্যিক ধারণায় বাড়িঘর হচ্ছে সারা জীবনের একটি প্রত্যাশা ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি। ২০০৭ সালে নতুন বাড়ি কেনার ব্যাপারে পেইচিংবাসী চাং রুই বেশ অসুবিধায় পড়েছিলেন। সৌভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, স্থানীয় সরকারের সহায়তায় শেষ পর্যন্ত তার বাড়ি সমস্যার সন্তোষজনক সমাধান হয়েছে। ৫ মার্চ সমাজ দর্পন অনুষ্ঠানে চাং রুইয়ের বাড়ির কাহিনী শি চিং উ আপনাদের শোনাবেন।

    নিং সিয়া হুই জাতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চীনের বৃহত্তম মুসলমান অধ্যুষিত এলাকা। দীর্ঘকাল ধরে হুই জাতির অনন্য পোষাক ও নৃত্যের বৈশিষ্ট্যে ঐতিহ্যের সৃষ্টি হয়েছে। হুই জাতির পোষাকের মধ্যে চুলকে পরিপাটি করে সাজানো হচ্ছে সবচেয়ে স্ববৈশিষ্ট্যপূর্ণ দিক। হুই জাতি সুন্দর ও পরিপাটি পোষাক পরতে পছন্দ করে। তাদের আধুনিক জামাকাপড় ভাল লাগে না। তারা সাদা, সবুজ ও কালো রঙের কাপড় পছন্দ করে। হুই জাতির ছেলে ও মেয়েরা লোকনৃত্য পরিবেশনে দারুণভাবে পারদর্শী। ৫ মার্চ ওরা অনন্য অনুষ্ঠানে থাং ইয়াও খান হুই জাতির পোষাক ও নৃত্য সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলবেন।

    চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি চালু হওয়ার পর অধিক থেকে অধিকতর বিদেশী ব্যবসায়ী চীনে এসেছেন। তাঁরা চীনে ব্যবসা করেন, কারখানা স্থাপন করেন ও বাসা নির্মাণ করেন। জাপানী মোছিজুকি হিদাকি উত্তর চীনের শেন ইয়াং শহরে দু'বছর ধরে কাজ করেছেন। তিনি একটি জাপানী ওষুধ তৈরি লিমিটেড কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজার। তিনি আশা করেন, চীন ও জাপানের জনগণের বন্ধুত্বপুর্ণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিনি নিজের অবদান রাখবেন। ৬ মার্চ অর্থনীতির অগ্রযাত্রা অনুষ্ঠানে জাপানী ব্যবসায়ী হিদাকির চীনের জীবন সম্পর্কে আপনাদের কিছু তথ্য জানানো হবে।

    সুন্দর উপকূলীয় শহর ছিংতাও পূর্ব চীনের শানতুং প্রদেশে অবস্থিত। ছিংতাও হচ্ছে চীনের নামকরা পর্যটন স্থান। সেখানে জনপ্রিয় ছিংতাও বিয়ার উত্পাদিত হয়। এমনকি বিয়ার রাস্তা বলে সেখানে একটি সুপরিচিত রাস্তাও রয়েছে। এই রাস্তার ইতিহাস ১০০ বছরের বেশি। ৬ মার্চ চলুন বেড়িয়ে আসি অনুষ্ঠানে খোং চিয়া চিয়া ও আবাম ছালাউদ্দিন আপনাদের নিয়ে ছিংতাও ভ্রমণে যাবেন।

    ছাং জাতি চীনের একটি প্রাচীন সংখ্যালঘু জাতি। তারা প্রধানতঃ দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সিছুয়ান প্রদেশে বসবাস করে। ছাং জাতির জনসংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। তাদের সৌন্দর্যময় স্থাপত্য কৌশল দেশ-বিদেশে সুবিদিত। ছাং জাতির বাড়িঘর সাধারণতঃ নদীর তীরে ও পাহাড়ের পাদদেশে নির্মিত। ছাং জাতির গ্রাম সে জাতির লোক-কলার একটি অংশ হিসেবে অভিহিত করা হয়। গ্রামবাসীদের বাসস্থান হিসেবে ছাং জাতির গ্রাম, যেমনি সে জাতির স্থাপত্য শৈলী প্রকাশ পায়, তেমনি তা পানি সরবরাহ, দমকল ও যুদ্ধ ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়। ৭ মার্চ সেই গ্রাম এই জীবন অনুষ্ঠানে ছাং জাতির স্থাপত্য শৈলী সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলবেন থাং ইয়াও খান।

    ২০০৮ সালের পেইচিং অলিম্পিক গেমস দিন দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে অধিক থেকে অধিকতর লোক স্বেচ্ছাসেবক দলে যোগ দিয়ে নিজদের বাস্তব কার্যকলাপে অংশ গ্রহণের সুযোগে অলিম্পিক গেমসের জন্য সেবা করছেন। পেইচিংয়ের ৯৬ বছর বয়সী নাগরিক লি সুফেন তাদের মধ্যে একজন। তিনি নিজের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পদ্ধতি --- কাগজ কাটা দিয়ে অলিম্পিক গেমসের প্রতি নিজের ভালবাসা ও সমর্থন ব্যক্ত করেন। ৭ মার্চ কন্যা জায়া জননী অনুষ্ঠানে '৯৬ বছর বয়সী অলিম্পিক গেমসের স্বেচ্ছাসেবক' শিরোনামে বুড়িমা লি সুফেনের গল্প আপনাদের শোনানো হবে।

    বন্ধুরা, তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।