২ মার্চ ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের শান্তি আলোচনা স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
গাজা অঞ্চলে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র রূপ নেওয়ায় আব্বাস এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি আর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট, ফিলিস্তিনের আলোচনা দলের নেতা আহমেদ কুরেইয়া এবং ইসরাইলের আলোচনা দলের নেতা জিপি লিভনি'র মধ্যে আপাতত আর কোনো আলোচনা হবে না।
একই দিন ওলমার্ট বলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংলাপ চালাতে ইচ্ছুক, তবে গাজা অঞ্চলের ওপর আঘাত থামানো হবে না। কারণ ফিলিস্তিনীরা এখনো দক্ষিণ ইসরাইলের ওপরে ক্ষেপনাস্ত্র ছোঁড়া অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইসরাইলকে নিন্দা করা উচিত নয় কারণ ইসরাইলের নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই রক্ষা করতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একই দিন পৃথক পৃথকভাবে গাজা অঞ্চলে ইসরাইলের সামরিক অভিযানের নিন্দা করেছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির মুখপাত্র গর্ডন জনড্রো ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের প্রতি সংযম বজায় রেখে আবার শান্তি আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। ইতালি'র তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাস্সিমো দ্য আলেমা গাজা অঞ্চলের সংঘর্ষ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ফিলিস্তিনীদের প্রতি ক্ষেপনাস্ত্র হামলা বন্ধ করতে এবং ইসরাইলীদেরকে নিরীহ মানুষ হত্যা না করার আহ্বান জানিয়েছেন। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ফুয়াদ সিনিওরা ফিলিস্তিনী নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আরব দেশগুলোর প্রতি বেসামরিক ফিলিস্তিনীদের ওপরে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরাইলী প্রতিরক্ষা বাহিনী ১ মার্চ ভোরে আবার গাজা অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালায়। এতে কমপক্ষ ৬৮ ফিলিস্তিনী নিহত এবং ২০০জন আহত হয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ একই দিন রাতে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনকে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। (ইয়াং ওয়েই মিং)
|