২০০৪ সালের জুন মাসে বোরিস তাদিচ সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের মার্চ মাসে ভোস্লাভ কোস্তনিচা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালের মে মাসে তিনি পুনর্নির্বাচিত হন।
সার্বিয়া বলকান উপদ্বীপের মধ্য-উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। দেশটি উত্তর পূর্ব দিকে রুমানিয়া, পূর্ব দিকে বুলগেরিয়া, দক্ষিণ পূর্ব দিকে ম্যাসিডোনিয়া, দক্ষিণ দিকে আলজেরিয়া, দক্ষিণ পশ্চিম দিকে মন্টিনেগ্রো, পশ্চিম দিকে বসনিয়া-হোর্জেগোভিনা এবং উত্তর পশ্চিম দিকে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে সংলগ্ন। দেশটির আয়তন ৮৮ হাজার ৩ শো বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা ৯৯ লাখ। সরকারী ভাষা সার্বীয়। প্রধান ধর্ম হচ্ছে দ্য অর্থোডক্স ইস্টার্ন গীর্জা। রাজধানি বেলগ্রেড, যা বলকান উপদ্বীপের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।
১৯৯২ সালে সার্বিয়া ও মন্টিনেগ্রোকে নিয়ে গঠিত যুগোস্লাভিয়া লীগ প্রজাতন্ত্র। ২০০৬ সালের ৩ জুন মন্টিনেগ্রো স্বাধীনতা ঘোষণা করে। সার্বিয়ার একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ হিসেবে কসোভো ১৯৯৯ সালের জুন মাস থেকে জাতিসংঘের শাসনাধীনে চলে আসে। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে জাতিসংঘ মহাসচিবের কসোভো সমস্যা সংক্রান্ত বিশেষ দূতের উদ্যোগে এর অবস্থান নিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০০৬ সালের ৮ নভেম্বর সার্বিয়ার পার্লামেন্টের একটি বিশেষ অধিবেশনে দেশটির নতুন সংবিধান কার্যকর হয়। নতুন সংবিধানে বলা হয়, কসোভো হচ্ছে সার্বিয়া ভূ-ভাগের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
২০০৫ সালে সার্বিয়ার জি ডি পি'র মোট পরিমাণ ছিল ২৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০০৪ সালের তুলনায় ৬.৫ শতাংশ বেশি। দেশটিতে বেকারত্বের হার ২৬.৪২ শতাংশ।
সার্বিয়া যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলো এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়। দেশটি সক্রিয়ভাবে আঞ্চলিক সহযোগিতায় অংশ নেয়। ১৯৫৫ সালের ২ জানুয়ারী যুগোস্লাভিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। --ওয়াং হাইমান
|