সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কোফি আনানের মধ্যস্থতায় কেনিয়া সরকার এবং সরকার বিরোধী দলের মধ্যে কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর ২৮ ফেব্রুয়ারী দু'পক্ষের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এদিন বিকাল পাঁচটা দশ মিনিটে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব আনান, তাজ্ঞাজানিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বেনজামিন মকাপা, আফ্রিকান ইউনিয়নের পালাক্রমিক সভাপতি এবং তাজ্ঞাজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জাকায়া কিকওয়েতের , কেনিয়ার সংবাদ মাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াই কিবাকি এবং বিরোধী দল ও ডি এমের চেয়ারম্যান রাইলা ওডিংগা নাইরোবির প্রেসিডেন্ট অফিসে ক্ষমতা ভাগাভাগির এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
আনান চুক্তি স্বাক্ষয় অনুষ্ঠানে দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনা শেষ হওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন,
আজ বিকালে দু দল এর আগে স্বাক্ষরিত কাঠামো চুক্তির তৃতীয় আলোচনা শেষ করেছে। অর্থাত্ কেনিয়ার রাজনৈতিক সংকটের অবসান ঘটেছে। আমি এতে খুব খুশি।
ক্ষমতা ভাগাভাগির এই চুক্তিকে কেনিয়ার জনগণও স্বাগত জানিয়েছে। কেনিয়ার এক তরুণ বলেছেন,
এই যৌথ সরকার আমাদের প্রয়োজন। এতে কেনিয়ায় শান্তি ফিরে আসবে।
কেনিয়ার একজন নারী বলেছেন,
আমার খুব ভালো লাগছে। আমরা আবার শান্তি ফিরে পাবো।
দু'দলের নেতারা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তাদের ভাষণে বলেছেন, তাঁরা এই চুক্তি দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবেন। কিবাকি সরকারের পক্ষ থেকে বলেছেন,
কেনিয়া সরকার বৈঠকে স্বাক্ষরিত চুক্তি দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সরকার এবং ও ডি এমের মধ্যে সার্বিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমাদের সরকার বর্তমানের চ্যালেঞ্জগুলো সার্বিকভাবে মোকাবেলা করতে পারবে।
ওডিংগা বিরোধী দলের পক্ষ থেকে চুক্তি অনুসরণের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
এই চুক্তি কেনিয়ার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে কেনিয়া সহযোগিতার যুগে প্রবেশ করেছে। ও ডি এম এই চুক্তির সফল বাস্তবায়নে চেষ্টা চালাবে।
চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু সম্পর্কে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব আনান বলেছেন, দু'পক্ষ যৌথ সরকারে একজন প্রধানমন্ত্রী এবং দুজন উপপ্রধানমন্ত্রী পদের ব্যাপারে রাজি হয়েছে। আনান বলেছেন,
চুক্তিতে ও ডি এম নেতা ওডিঙ্গাকে যৌথ সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সরকারে সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করবেন।
আনান আরো বলেছেন, এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দল থেকেই প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হবেন। বর্তমানে পার্লামেন্টে ও ডি এমের আসন সংখ্যা বেশি।
আনান বলেছেন, ২৯ ফেব্রুয়ারী সকালে কেনিয়া সরকার এবং ও ডি এমের বৈঠক চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করে। বৈঠকে দু'পক্ষ স্থায়ীভাবে সংকট নিরসনের ব্যবস্থা , যেমন ভূমি ও জ্বালানি সম্পদ বন্টনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করে এবং এরপরও এ বৈঠক চলবে।
|