কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট মুওয়াই কিবাকি এবং প্রধান বিরোধী দল "ওরেঞ্জ ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট"এর নেতা রাইলা ওডিঙ্গা ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নাইরোবিতে যৌথ ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি সাক্ষর করেছেন।
কেনিয়ার রাজনৈতিক সংকটে মধ্যস্থতাকারী সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী, যৌথ সরকারে একজন প্রধানমন্ত্রী এবং দুজন উপ-প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টের সংখ্যাঘরিষ্ঠ দল অথবা যৌথ রকারের নেতাদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন, এবং দুজন উপ-প্রধানমন্ত্রী দু'টি দলের সুপারাশ অনুযায়ী নিযুক্ত হবেন। ও.ডি.এম পার্লামেন্টের সংখ্যাঘরিষ্ঠ দল হওয়ায় এর নেতা ওডিঙ্গা প্রধানমন্ত্রী হবেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন একই দিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই চুক্তি হলো কেনিয়ায় গণতন্ত্র এবং স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে জরুরী কাজ হলো কেনিয়ার মানবিক অবস্থার উন্নয়ন করা এবং দু'দলের মধ্যে আরো বেশি মতৈক্য প্রতিষ্ঠা করা।
ইইউ কমিটির উন্নয়ন ও মানবিক সাহায্য বিষয়ক কর্মকর্তা লুইস মিশেল বলেন, যৌথ সরকার গঠন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটের একটি স্থায়ী মীমাংসা ।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র টম ক্যাসি বলেন, এই চুক্তি খুব গুরুত্বপূর্ন এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ। চুক্তি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী। (ইয়াং ওয়েই মিং)
|