v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-02-27 19:05:46    
চীন ও যুক্তরাষ্ট্র দু দেশের সংলাপ , সহযোগিতা ও আস্থা বাড়াতে একমত হয়েছে

cri
    যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিত্সা রাইস ২৭ ফেব্রুয়ারী পেইচিং ত্যাগের মধ্য দিয়ে তার চতুর্থ চীন সফর শেষ করেছেন । তার এবারের চীন সফর ছিল মাত্র এক দিনের , সফরকালে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও , প্রধানমন্ত্রীওয়েন চিয়া পাও ও রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর থান চিয়া সুয়েনের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন । বৈঠকে উভয় পক্ষ পারস্পরিক সংলাপ , সহযোগিতা ও আস্থা বাড়ানো এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্থিতিশীল উন্নয়ন তরান্বিত করার ব্যাপারে একমত হয়েছে ।

    চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং চিয়ে ছির আমন্ত্রণে রাইস তার দক্ষিণ কোরিয়া সফর শেষ করে ২৬ ফেব্রুয়ারী বিশেষ বিমানে পেইচিং আসেন । সেদিন সাড়ে এগারটায় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হয় । বৈঠকের পর অনুষ্ঠিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইয়াং চিয়ে ছি বলেন , বৈঠকটি গঠনমূলক ছিল । আমরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু দেশের সম্পর্কের অগ্রগতির গভীর মূল্যায়ন করেছি । যে সব বিষয়ে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ও জর্জ বুশের মধ্যে বৈঠকে মতৈক্য হয়েছে ,সে সব বিষয় বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত রাখতে আমরা সম্মত হয়েছি। বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গঠনমূলক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রসারের জন্য শীর্ষ স্থানীয় ও বিভিন্ন স্তরের সফর বিনিময় বজায় রাখা , আর্থ-বাণিজ্য , সন্ত্রাস- দমন , জ্বালানী, পরিবেশ সংরক্ষণ ও গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ব্যাপারে দু দেশের মতবিনিময় , সংলাপ ও সহযোগিতা বাড়ানো , পরস্পরকে মর্যাদা প্রদর্শন , সমতা ও পারস্পরিক কল্যান ও অপরের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার নীতির ভিত্তিতে নতুন বছরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্থিতিশীল বিকাশ তরান্বিত করা ।

    গত কয়েক বছরে , চীন -মার্কিন সম্পর্ক প্রসারের অনুকূল ধারা বজায় রয়েছে । তাইওয়ান সমস্যা হলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সবচেয়ে স্পর্শকাতর সমস্যা । চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি যুক্ত বিবৃতি হলো দুদেশের সুস্থ ও স্থিতিশীল সম্পর্ক প্রসারের ভিত্তি । গত বিশ-বাইশ বছরে যুক্তরাষ্ট্র এক চীন নীতিতে অটল রয়েছে । বৈঠকে রাইস আরেকবার মার্কিন সরকারের এই নীতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন , আমি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরেকবার ঘোষণা করছি , যুক্তরাষ্ট্র এক চীন নীতিতে অটল থাকবে । যুক্তরাষ্ট্রতাইওয়ানের জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার জন্য তথাকথিত গণভোট অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করে । এ ধরনের পরিকল্পনা গঠনমূলক নয় , কোনো পক্ষের জন্যই তা কল্যানকর হবে না ।

    বৈঠকে ইয়াং চিয়ে ছি বলেন , তাইওয়ান সমস্যা চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখন্ডগত অখন্ডতার সাথে সম্পর্কিত একটি বড় সমস্যা , তাই চীন এ সমস্যাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় । এ সমস্যা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের প্রশংসা করে ইয়ান চিয়ে ছি বলেন , তাইওয়ান সমস্যা সম্পর্কে আমরা বরাবরই এক দেশে দুই সমাজ ব্যবস্থা ও শান্তিপূর্ণ একীকরণের নীতি অনুসরণ করে তা বাস্তবায়ন করতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালাব । তাইওয়ানের যে কোনো রাজনৈতিক দল যদি স্বীকার করে যে প্রণালীর দুই পারই এক চীনের অন্তর্ভুক্ত , তাহলে মূলভূভাগ তার সঙ্গে সংলাপে বসতে করতে আগ্রহী ।

    কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যাটিও দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল । এ সম্পর্কে ইয়াং চিয়ে ছি বলেন , যদিও এ বিষয়ে কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়ে বিলম্বিত হচ্ছে , তবে বিভিন্ন পক্ষ এখন ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ করছে । এতে ছ'পক্ষীয় বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকল পক্ষের সদিচ্ছা ও সংকল্প প্রতিফলিত হয়েছে । রাইস বলেন , কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু অস্ত্রমুক্তক প্রক্রিয়ারণ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো বার বার বৈঠক করেছে । যুক্তরাষ্ট্র আশা করে উত্তর কোরিয়া নিজের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরমাণু কর্মসূচীর আবেদন করবে । বৈঠকে রাইস সুদানের দারফুর সমস্যায় চীনের গঠনমূলক প্রচেষ্টারও গভীর মূল্যায়ন করেছেন ।