v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-02-19 15:03:36    
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে

cri

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ১৮ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় শেষ হয়েছে । এর পর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের নির্বাচনী কর্মচারীরা ভোট গণনার কাজ শুরু করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফাজী মোহাম্মদ ফারুক একই দিন বলেছেন , ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে । বিভিন্ন স্থানে পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত । একটি খবরে জানা গেছে , নির্বানে ভোট গ্রহণের গোটা প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত ছিল । নির্বাচনের সময় শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ৪ লাখাধিক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয় । এ ছাড়া, কোনো কোনো " স্পর্শকাতর জায়গায় " ৮০ হাজারেরও বেশী সৈন্য মোতেয়ন করা হয়। তবে কয়েকটি অঞ্চলে বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে । সহিংসতায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত ও বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে । জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নিয় গঠিত পাকিস্তানের পার্লমেন্ট । জাতীয় পরিষদে আসন সংখ্যা ৩৮২টি যার মধ্যে ৭০টি আসন মহিলা ও অমুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত। সুতরাং এবারের সাধারণ নির্বাচনে ৭০০০ প্রার্থী জাতীয় পরিষদের ২৭২টি আসন ও প্রাদেশিক পরিষদের ৫৭৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ।

একটি খবরে জানা গেছে , ফেডারেল ইউনিয়ানের অধিনস্থ থানার একটি অঞ্চলে নিরাপত্তার কারনে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ায় ১৮ ফেব্রুয়ারী সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের থাক্রমে ২৬৯ ও ৫৭০টি আসনে নির্বাচন হয়েছে । পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন বিধি অনুযায়ী , ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট গণনা শুরু হয়। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের গণনার ফলাফল নির্বাচন কমিশন পাঠানো হবে । নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করবে । পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী নিসার মেমন বলেছেন, নির্বাচনের সরকারি ফলাফল উপযুক্ত সময় প্রকাশিত হবে । এবারের সাধারণ নির্বাচন যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হয় সেই জন্য পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ব্যাপক পদক্ষেপ নেয় । যেমন , নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ ব্যালট বাক্ম ও অমোচনীয় কালির ব্যবস্থা করে । ভোটারদের পরিচয়পত্র পরীক্ষার কড়াকড়ি ব্যবস্থা রাখা হয় । ১৮ ফেব্রুয়ারী কয়েক হাজার বিদেশী ও স্থানীয় পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন । তা ছাড়া, প্রচার মাধ্যমগুলোতে ভোটের ফলাফল তত্ক্ষনিকভাবেপ্রচারিত হয় । এ সব ব্যবস্থাপাকিস্তানের ইতিহাসে এবারই প্রথম বারের মতো নেওয়া হয়েছে। ভোটপ্রদানের হার এবারের সাধারণ নির্বাচনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় ছিল। পাকিস্তানে ভোটারের সংখ্যা মোট ৮ কোটি ১০ লাখ । কিন্তু ১৮ ফেব্রুয়ারী ভোট প্রদানের হার বেশী ছিল না । ইসলামাবাদের উপকন্ঠের একটি ভোট কেন্দ্রের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সাংবাদদাতাকে বললেন , এই কেন্দ্রের ভোটপ্রদানের হার ৫০ শতাংশেরও কম ছিল ।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের একটি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাও জানিয়েছেন, ১৮ ফেব্রুয়ারী সারা দেশে ভোটপ্রদানেরভোটগ্রহণের হার সম্ভবত: ৪০ শতাংশের কাছাকাছি । এবারের সাধারণ নির্বাচনে নতুন সরকারের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবেন । তাই এই নির্বাচনের প্রতি নির্বাচন বিশেষভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি রয়েছে । ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার আগে পারভেজ মুশাররফ বলেন, এবারের সাধারণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা পাকিস্তানের ভবিষ্যতের সঙ্গে সর্ম্পকিত । পিপলস পার্টি, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কিউ-এর মধ্যে কোন দল বেশী আসন পাবে এবং যদি কেউ নিরংকুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পায় তাহলে তাদের মধ্যে কিভাবে ক্ষমতা ভাগাভাগি হবে তা আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে । ১৮ ফেব্রুয়ারী রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি প্রার্থীদেরকে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি বলেন, " নির্বাচন জনসাধারনের মতামতের প্রতিফলন তাই আমি সহ সকলের উচিত নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়া " । এতক্ষণ আজকের প্রতিবেদন শুনলেন । আমাদের সঙ্গে থেকে অনুষ্ঠান শোনার জন্য ধন্যবাদ । (চিয়াং )