চীনের ২০০৮ সালের ছিয়ান পাই পাহাড় আন্তর্জাতিক তুষার পর্যটন উত্সব ১৮ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে । এ উত্সবে ছিয়ান পাই পাহাড়ের তুষার আছাদিত প্রাকৃতিক দৃশ্য ও পূর্ব এশিয়ার ভূত্বাতিক বৈশিষ্ট্য দেখানো হয়েছে ।
এ উত্সবের সাংগঠনিক কমিটি জানায় , উত্সব চলাকালে বরফ ও তুষার চিত্র প্রদশর্নী, আন্তর্জাতিকসস্কিপ্রতিযোগিতা ও ওলিম্পিক গেমস স্বাগত জানানোর জন্য দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
উত্তর- পূর্ব চীনের চিলিন প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ছানপাই পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এবং মনোরম । গত বছর মোট সাত লাখ পর্যটক এই দর্শণীয় স্থানে ভ্রমণ করেছেন ।
ছানপাই পাহাড় প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চলের একজন দায়িত্বশীল কর্তকর্তা বলেন , অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ রক্ষার জন্য অঞ্চলটিতে পরিসেবা শিল্প ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্প উন্নয়ন করা হবে । দূষণ সৃষ্টিকারী ও জ্বালানী ক্ষয়কারী শিল্পের উন্নয়ন সীমিত হবে ।
**ছিনহাই প্রদেশের রেকং অঞ্চলের থানখা চিত্রপ্রদর্শনী পেইচিংয়ে শুরু
২০০৮ সালে চীনের সুন ছিং লিং তহবিল সংস্থার 'সুখী মা পরিকল্পনা'র অন্যতম কর্মসূচী-- ছিংহাই প্রদেশের রে কোথান খা চিত্রপ্রদর্শনী ২৫জানুয়ারী পেইচিংয়ের শতাব্দী বেদীতে প্রদর্শিত হয়েছে । প্রদর্শনীটি ১৩ ফেব্রুয়ারী স্থায়ী হবে ।
ছিংহাই -তিব্বত অঞ্চলে তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের শিল্প সমৃদ্ধ । ছিংহাই প্রদেশের হুয়ান নান তিব্বী স্বায়তশাসিত থোংরেন জেলার রেকং চিত্রশিল্প এ অঞ্চলেরবৌদ্ধধর্ম শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী শাখা । এ জেলার বৈশিষ্টময় চিত্র থানখা চিত্র, দেওয়ালচিত্র ও ভাস্কর্যকে চীনের অবস্তুগত সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারগুলোর অনুর্ভুক্তকরা হয়েছে ।
এবার ' সুখী মা পরিকল্পনা' র অন্যতম কর্মসূচী হিসেবে রে কন অঞ্চলের ৪ শ'র বেশি থানখা চিত্রদেখানো হয়েছে । এসব চিত্রকর্ম দেশের অন্যান্য স্থান ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হবে । প্রদর্শনী থেকে পাওয়া অর্থ দরিদ্র মহিলা ও শিশুদের সাহায্যে ব্যবহার করা হবে ।
উল্লেখ্য, থান খা এক তিব্বতী ভাষার শব্দ । রঙীন রেশমীকাপড়ে আঁকা বৌদ্ধধর্মের ছবিকে থান খা বলা হয় । ছবিগুলোতে তিব্বতী জাতির ইতিহাস , রাজনীতি , সংস্কৃতি ও সামাজিক জীবন প্রতিফলিত হয় ।
**এনিমেশন শিল্পের প্রতি সরকারী সাহায্য বাড়বে
চীন সরকার এনিমেশন শিল্পের উন্নয়ন সাহায্য বাড়াবে । ৫ জানুয়ালী অনুষ্ঠিত চীনের ২০০৮ সালের সাংস্কৃতিক শিল্প সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বার্ষিক সম্মেলনে চীনের সংস্কৃতি উপমন্ত্রীমেন সিয়াও সি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন , নতুন বছরে চীন সরকার ইন্টারনেট গেইম ও এনিমেশনসহ সাংস্কৃতিক শিল্পের উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ বাড়াবে এবং উত্কৃষ্ট ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি ডিজিটকরণের ব্যবস্থা নেবে । যাতে আরো বেশি লোক ইন্টারনেটে সংস্কৃতি শিল্পের সুবিধা উপভোগ করতে পারে। এর পাশাপাশি এনিমেশন শিল্পের প্রতি সাহায্য দেয়ার মাধ্যমে জনসাধারণের সৃজনশক্তি বাড়াবে ।
তিনি আরো বলেন , ২০০৮ সালে চীনে এনিমেশন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে এবং এনিমেশন কর্মী প্রশিক্ষণ করা হবে ।
|