শুরুতেই ক্রিকেট
সিরিজে আশার আলো জাগালো ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ডের জন্য আর কোন পথ খোলা ছিল না । জিততেই হতো তাদের । শেষ পর্যন্ত তারা নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েই ঘুরে দাঁড়াল । এর আগে পর পর বাজে দু'টো হারের পর অকল্যান্ডে ইংল্যান্ডের এই জয়ের নায়ক হলো স্বয়ং পল কলিং উড । বল হাতে অধিনায়ক ৪৩ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৫০ বলে করেছেন অপরাজিত ৭০ রান । এ ম্যাচে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ৩০ ওভারের মধ্যেই তাদের ৯৫ রানে ৬ উইকেট ফেলে দিয়েছিল সফরকারীরা । ম্যাচটা কত দ্রুত শেষ করা যায় সে চিন্তাটাই তখন তাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল । কিন্তু ওখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ান জ্যাকব ওরাম । ৪টি চার ও ৪টি ছয়ের মাধ্যমে ৮৮ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন তিনি ৯১ বলে । অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৭৪ , অষ্টম উইকেটে কাইল মিলসকে নিয়ে ৩০ এবং নবম উইকেটে হিচকককে নিয়ে ২৪ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে পৌঁছে দেন ২৩৪ রানে । ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে নামার আগে বৃষ্টি বাধ সাধে । এর ফলে ৪৭ ওভারে ২২৯ রান করতে হবে । এট ছিল সত্যিই খুব কঠিন । ৩১ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর টানা তৃতীয় পরাজয়ের সামনে এসে যায় ইংল্যান্ড । আর এখান থেকে যিনি দলকে জয়ের পথে ফেরান তিনি হলেন ইয়ান বেল । ভেট্টোরির বাহাতি স্পিনে বোল্ড হওয়ার আগে ১০টি চারসহ ৮৯ বলে করে যান ৭৩ রান, কেভিন পিটারসনের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১০৭ রানের পার্টনারশিপ। এর পরে কলিংউড টানা ৪ ওভারে তুলেছেন ৩৭ রান । এরফলেই জিতে যায় ইংল্যান্ড ।
স্কোর: ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৪ এবং ইংল্যান্ড৪৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৯ । ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক পল কলিং উড ।
এর আগের ম্যাচে এই ইংল্যান্ডই ১০ উইকেটে হেরেছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে । স্কোর ছিল ইংল্যান্ডের৩৫.১ ওভারে ১৫৮ এবং নিউজিল্যান্ড১৮.১ ওভারে ১৬৫ । ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিল ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ।
শ্রীলঙ্কা আবারও হেরেছে
ত্রিদেশীয় সিরিজের ৬ষ্ঠ ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৬৩ রানে হারিয়ে ফাইনাল খেলা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া । পার্থে দিবা রাত্রির এই ম্যাচে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গিলক্রিস্টের ১১৮ রানের পরও মালিঙ্গার মারাত্মক বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া ২৩৬ রানে সবাই আউট হয়ে যায় । জয়ের সহজ লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ১৭৩ রান তুলতে গিয়ে শ্রীলঙ্কা দলের সবাই আউট হয়ে যায় । শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন কুমার সাঙ্গাকারা । ব্রাকেন করেন ২১ ও জনসন ২৯ রানে ৩টি এবং হগ ৪১ রানে ২ উইকেট নেন ।
৪ ম্যাচে অস্ট্রলিয়ার পয়েন্ট ১২ । ভারতের ৮ এবং শ্রীলঙ্কার৪ । এর আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কা হেরেছিল ১২৮ রানে ।
স্কোর : অস্ট্রেলিয়া ৪৯.৪ ওভারে ২৩৬ এবং শ্রীলঙ্কা ৪৫.৩ ওভারে ১৭৩ । এ খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন এডাম গিলক্রিস্ট ।
শ্রীলঙ্কা- ভারত ম্যাচ
এর আগে গত বুধবারে ক্যানবেরায় ত্রিদেশীয় সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে ভারত শোচনীয়ভাবে হেরে গেছে শ্রীলঙ্কার কাছে । ২০ টুয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা ভারত বৃষ্টি বিঘ্নিত২৯ ওভারের এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সামানে দাঁড়াতেই পারে নি । সেই সুযোগে সনথ জয় সুরিয়ার কারিস্মায় শ্রীলঙ্কা সিবি সিরিজে তাদের প্রথম জয় পায় । টস জয়ী শ্রীলঙ্কা প্রথমে ফিল্ডিং করে ভারতকে আটকে দেয় মাত্র ১৯৫ রানে । এর পর পরই শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি । আর বৃষ্টির কারনেই ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার জন্য টার্গেট নির্ধারিত হয় ২১ ওভারে ১৫৪ রান ।। তিলকারত্নে দিলশানের ৫৯ বলে ৬২ রানের হার না মানা ইনিংসের বদৌলতে শ্রীলঙ্কা বারো বল বাকি থাকতে আট উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় । প্রতিকূল আবহাওয়া ভারতকে প্রতিকূল পরিস্হিতিতে ফেলে দেয় । বিফলে যায় রোহিত শর্মার অপরাজিত ৭০ রানের মূল্যবান ইনিংসটি । দ্বিতীয় দফা বৃষ্টি না হলে শ্রীলংকাকে করতে হতো ২৯ ওভারে ১৯৬ । এ খেলায় জয় সুরিয়া তার অতীত ঐতহ্য অনুযায়ী ১৩ বলে করেন ২৭ রান । এর মধ্যে ছিল তার দু'টি চার ও দু'টি ছয়ের মার । দিলশান করেন একটি ছয় ও একটি চার সহ ৫৯ বলে ৬২ রান । শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জয়লাভ করে । এ খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন শ্রীলঙ্কার দিলশান ।
স্কোর : ভারত ২৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৫ এবং শ্রীলঙ্কা ২১২ ওভারে ১৫৪ ।
বাংলাদেশ - দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ
দক্ষিণ আফ্রিকার ২৫ সদস্যের একটি ক্রিকেট দল এখন বাংলাদেশ সফর করছে । এ সফরকালে তারা তিনটি একদিনের এবং দু'টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে । দু'দলের মধ্যে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এ মাসের ২২ তারিখে । তার পরে তারা একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলবে । দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে । এর পর দু'দলের একদিনের খেলা । প্রথম একদিনের খেলাটি ৭ মার্চ চট্টগ্রামের একই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে । বাকি দু'টি একদিনের ম্যাচ তারা ঢাকায় খেলবে । এর আগে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চারটি টেস্টে মুখো মুখি হয় বাংলাদেশ । যার সব কটিতেই তারা হেরে ছিল । তবে গত বিশ্বকাপেই তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬৭ রানে হারিয়ে ছিল । দক্ষিণ আফ্রিকা দলে যারা বাংলাদেশ সফর করছেন তারা হলেন : অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ, অ্যাশওয়েল প্রিন্স, হাসিত আমলা জোহান বোথা, উইকেট কীপার মার্ক বাউচার, এডিবি ভিলিয়ার্স, জেপি ডুমিনি, রবিন পিটারসন, জ্যাক কালিস, নিল ম্যাকেন্জি, আন্দ্রেনেল, মাখায়া এনটিনি, মর্নে মরকেল এবং ডেল স্টেইন ।
ফুটবল
ইংলিশ প্রিমিয়ারলীগ
আর্সেনালের জয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে । যদিও তারা মাঝপথে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছিল । পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্হান দখলের জন্য তারা পরপর একটানা দশ ম্যাচে অপরাজিত থেকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছে । ব্ল্যাকবার্নকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা রেসে আরও একধাপ এগিয়ে গেল তারা । এই জয়ের ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানইউ'র সঙ্গে পাঁচ পয়েন্টের ব্যবধান গড়ে নিতে সক্ষম হলো আর্সেনাল । ২৬ ম্যাচ শেষে আর্সেনালের সংগ্রহ ৬৩ পয়েন্ট । আগের দিন ম্যানসিটির কাছে ২-১ গোলে হেরে ৫৮ পয়েন্টেই আটকে আছে ম্যানইউ । চেলসির পয়েন্ট হচ্ছে৫৫. ৪৭ ও ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে পরের স্হান দু'টি যথাক্রমে এভারটন ও লিভারপুলের দখলে রয়েছে ।
ফিফা রেঙ্কিং-এ আর্জেন্টিনা শীর্ষে
ফিফার সর্বশেষ রেঙ্কিং অনুযায়ী টানা পঞ্চম বারের মতো ফুটবলের শীর্ষস্হান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিন । উল্লেখ্য, প্রতি মাসেই ফিফার রেঙ্কিং ঘোষণা করা হয় । শীর্ষ দশে কেবল একটি পরিবর্তন এসেছে । আর তা হলো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন গ্রিস উঠে এসেছে । এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচে রয়েছে ব্রাজিল, ইতালি, স্পেন ও জার্মানি । এর পরে রয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র,ফ্রান্স, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস ও গ্রিস । সদ্য সমাপ্ত নেশন্স কাপের পর আফ্রিকার দলগুলোর অবস্হানের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে । টুর্নামেন্টের স্বাগতিক ঘানা ২৯ ধাপ এগিয়ে এসেছে ১৪ নম্বরে । আইভরিকোস্ট ১৪ নম্বর থেকে পিছিয়ে ২৪ নম্বরে নেমে গেছে । আর নেসন্স কাপ শিরোপা জিতে উন্নতি হয়েছে মিসরের । তারা ৩৫ নম্বর থেকে উঠে এসেছে ২৯ নম্বরে । এ ছাড়া ইংল্যান্ড একধাপ এগিয়ে ১১ নম্বরে চলে এসেছে ।
টেনিস
ক্যারিয়ারের শুরুতে ঝড় তোলা মনিকা সেলেস শেষ পর্যন্ত টেনিস থেকে সরে দাঁড়ালেন । ১৯৯১ এবং ১৯৯২ সালে তিনি পরপর জিতে ছিলেন ছয়টি গ্র্যান্ডশ্লাম । তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে নয়টি গ্র্যান্ডশ্লাম শিরোপা । প্রতিযোগিতায় না থাকলেও তিনি আরো কিছু দিন প্রদর্শনি ম্যাচ খেলে যাবেন ।
|