v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-02-18 19:22:08    
চীনে সবুজ বীমা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে

cri
    চীনের জাতীয় পরিবেশ সংরক্ষণ ব্যুরো ও চীনের বীমা তত্ত্বাবধান কমিটির একটি দলিল অনুযায়ী চীন ধাপেধাপে দেশের অভ্যন্তরে সবুজ বীমা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিচ্ছে । পরবর্তীকালে চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিবেশ দূষিত হওয়ার দায়িত্ব সম্পর্কে বীমা কোম্পানির কাছে বীমা পত্র দাখিল করতে পারবে । শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিঃসরণ জনসাধারণের জন্য যে ক্ষতিসাধন করেছে তা অনুসারে বীমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ করবে । চীনের জাতীয় পরিবেশ সংরক্ষণ ব্যুরোরএকজন কর্মকর্তা বলেন , সবুজ বীমা ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর দূষিত পদার্থেরনিঃসরণ কমিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সহায়ক হবে এবং ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে সরকারের উপর থেকে চাপ কমে যাবে ।

    জানা গেছে , বর্তমানে চীন পরিবেশ দুষিত হওয়ার ঘটনা ঘনঘন ঘটার পর্যায়ে প্রবেশ করেছে । শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জনিঃসরণ গুরুতরভাবে পরিবেশ দুষিত করেছে এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্য ও সমাজের স্থিতিশীলতার ক্ষতিসাধন করেছে । দুষিত করার ঘটনার জন্য নিশ্চিত ব্যবস্থার অভাবে শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণের যে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং পরিবেশ পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব নির্ধারিত না থাকায় ও ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ সময়ে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি বলে বেশ কিছু সামাজিক দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে । তাই চীনে কার্যকর দায়িত্বের বীমাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরী । চীনের জাতীয় পরিবেশ সংরক্ষণ ব্যুরোর নীতিবিধি বিষয়ক বিভাগের উপপ্রধান বিয়ে থাও বলেন , পরিবেশ দুষণের দায়িত্বে বীমা ব্যবস্থাআন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেয়া ব্যবস্থা । শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোসম্ভাব্য পরিবেশ দূষণের ঘটনার ঝুঁকির জন্য বীমা কোম্পানিতে বীমা ব্যবস্থা করবে । তার পর বীমা কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেবে । তিনি বলেন , পরিবেশ দূষণের দায়িত্ববীমা ব্যবস্থা নেয়া ব্যক্তি, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং সরকার তিন পক্ষের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। তিনি বলেন , এ ব্যবস্থা নিলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান এক আকস্মিক ঘটনার কারণে দেউলিয়াপনায় পড়ে যাবে না । ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যথাযথ সময়ে ক্ষতিপূরণ পাবে এবং সরকার তার অকরনীয় দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাবে । তাই আমরা মনে করি , এ ব্যবস্থার ফলে উত্পাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান, দুষণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, সরকার এবং দায়িত্বশীল বিভাগ যার যার দায়িত্ব পালন করতে পারবে ।

    মিঃ বিয়ে থাও জোর দিয়ে বলেন , পরিবেশ দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিশ্চিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার অর্থ এই দাঁড়াবে না যে , বীমাভূক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান যথেচ্ছভাবেপরিবেশ দূষণ করতে পারবে । জানা গেছে , যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিপদজনক রাসায়নিক দ্রব্য উত্পাদন , ব্যবসা, মজুদ, পরিবহন এবং ব্যবহার করে , সহজে দূষণের ঘটনা ঘটতে পারে এমন তেল ও রসায়ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং বিপদজনক বর্জনজিনিস অপসারণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান , বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিবেশ দুষণের গুরুতর ঘটনা ঘটেছে এমন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর চীন সরকার এ বছর পরীক্ষামূলক কাজ চালাবে ।

    চীনের বীমা তত্ত্বাবধান কমিটির সম্পত্তি বীমা বিষয়ক বিভাগের উপপ্রধান তুং পো বলেন , বীমা কোম্পানি আর্থিক স্বার্থের দিক থেকে বিবেচনা করবে । যদি একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রায়শইপরিবেশ রক্ষার দুর্ঘটনা ঘটে এবং অন্যান্যদের ক্ষতি সাধন করে তাহলে তাকে সর্বপ্রথমে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে । ফলে তার স্বার্থের ক্ষতি হবে । তাই তারা আগে থেকেই নিজেদের শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিবেশ রক্ষার প্রতিটিক্ষেত্রেইমানদন্ড পরীক্ষা করতে পারবে । পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় যদি কোনো সমস্যা সৃষ্টিহয় তাহলে তাদের জাতীয় পরিবেশ সংরক্ষণ ব্যুরোরকাছে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে । যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান মানদন্ডে পোঁছায়নিবীমা কোম্পানি তাকে বীমা ব্যবস্থার অন্তর্ভূক্ত করবে না এবং তা সাথেসাথে প্রাসঙ্গিক তথ্য পরিবেশ সংরক্ষণবিভাগকে জানাবে । জানা গেছে , ২০১৫ সালে চীন পরিবেশ দুষণের দায়িত্বে বীমা ব্যবস্থা পরিপূর্ণ করার কাজ মোটামুটি শেষ করবে এবং সারা দেশে তা জনপ্রি করে তুলবে । ঝুঁকি ও ক্ষতিরমূল্যায়ন , দায়িত্ব নির্ধারণ, দুর্ঘটনারসমাধান এবং ক্ষতিপূরণ দেয়াসহ বিবিধ ব্যবস্থা পরিপূর্ণ করবে । --চুং শাওলি