সার্বিয়া থেকে নিজেদেরকে স্বাধীন ঘোষণা করেছে কসোভো। স্থানীয় সময় ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ৩টায় কসোভোর প্রাদেশিক পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে কসোভোর স্বাধীনতার ঘোষণা গৃহীত হয়। এতে বলা হয়, কসোভোকে সার্বিয়া থেকে স্বাধীন ঘোষণা করা হলো।
কসোভোর অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হাশিম যাচি অধিবেশনে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এরপর কসোভো পার্লামেন্টের স্পীকার জাকুপ ক্রাসনিকি বলেন, কসোভো এখন থেকে একটি "স্বাধীন, সার্বভৌম এবং গণতান্ত্রিক দেশ" ।
এই ঘোষণার পর সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট বোরিস তাদিচ বলেছেন, সার্বিয়া কখোনো কসোভো'র স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেবে না। সার্বিয়া যাবতীয় শান্তিপূর্ণ, কূটনৈতিক ও বৈধ পদ্ধতিতে কসোভোর স্বাধীনতার বিরোধিতা করে যাবে। এর পাশাপাশি তিনি সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতি কসোভোয় সার্বীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
তাদিচ একই দিন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মহাসচিব বান কি মুকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি জাতিসংঘকে কসোভোর এক তরফা স্বাধীনতার ঘোষণার বিরোধিতা করার এবং কসোভোর পার্লামেন্ট বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১২৪৪ নং প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে বলা হয়, কসোভো সার্বভৌম সার্বিয়ার একটি অংশ। কসোভোর চূড়ান্ত অবস্থান নির্ধারণের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে। তাদিচ জাতিসংঘের সকল সদস্যের প্রতি সার্বিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভূখন্ডগত অখন্ডতাকে মর্যাদা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভুক জেরেমিচ ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করেছেন। তিনি কসোভো স্বাধীনতার ব্যাপারে সার্বিয়া সরকারের তুলে ধরেছেন এবং তাদেরকে কসোভোর স্বাধীনতার বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
একই দিন সার্বিয়ার বহু অঞ্চলে কসোভোর স্বাধীনতার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও ঘটেছে। এতে ১১জন পুলিশ এবং ১০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী আহত হয়। (ইয়াং ওয়েই মিং)
|