v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-02-14 18:43:57    
দক্ষিণ চীনের দুর্গত অঞ্চলের পরিস্থিতি ভালো , পুনর্নিমাণের কাজ শুরু

cri
    দক্ষিণ চীনের গুরুতর শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারঝড় মোকাবেলার কাজে প্রাথমিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে । এখন দুর্গত অঞ্চলের পরিস্থিতি শান্ত , বাজারের সরবরাহ ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে । সংশ্লিষ্ট বিভাগ অব্যাহতভাবে দুর্গত অঞ্চলের মানুষকে সাহায্য দেবে । ধসে পড়া বসতবাড়ীর পুনর্নির্মান কাজ শুরু হয়েছে এবং উত্পাদন শুরু করার প্রস্তুতি চলছে । চীনের বেসামরিক প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী লি লি কোও ১৪ ফেব্রুয়ারী পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন ।

     দক্ষিণ চীনের প্রবল শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারঝড় মোকাবেলার জন্য চীনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দুর্গত অঞ্চল সঙ্গে সঙ্গেই ত্রাণ কাজ চালিয়েছে এবং দুর্গত অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের মৌলিক চাহিদা মেটানোর চেষ্টা চালিয়েছে । সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপমন্ত্রী লি লি কোও বলেন , বিভিন্ন স্থান ও বিভিন্ন পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় দক্ষিণ চীনের শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারঝড় মোকাবেলার প্রথম পর্যায়ের কর্মসূচী সফল হয়েছে । দুর্গত অঞ্চলের বাজার সরবরাহ ও ত্রাণ সামগ্রীর চাহিদা নিশ্চিত হয়েছে । এখন দুর্গত অঞ্চলের পরিস্থিতি শান্ত , বাজারের সরবরাহও স্থিতিশীল ।

    জানুয়ারীর মাঝামাঝি সময় থেকে দক্ষিণ চীনের অনেক অঞ্চলে টানা শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারঝড় দেখা দেয় । এখন পর্যন্ত এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মোট ১০৭জন প্রাণ হারিয়েছে , আটজন নিখোঁজ হয়েছে , প্রত্যক্ষ অর্থনৈতিক ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ১১০ বিলিয়ন ইউয়ান । দুর্যোগ দেখা দেয়ার পর চীনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ দুর্গত অঞ্চলে ২০ লাখ শীতবস্ত্র ও বিপুল সংখ্যক তাবু ও তর্চলাইট পাঠিয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকার ত্রাণখাতে ২৭০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে । এখন পর্যন্ত দুর্গত অঞ্চলগুলোতে কোনো সংক্রামক রোগ ও গণ স্বাস্থহানিকর আকস্মিক ঘটনা ঘটে নি। তবে তিনি বলেন , এ গুরুতর দুর্যোগে অধিবাসীদের অনেক বসতবাড়ী ধসে পড়েছে , কৃষির উত্পাদনের ক্ষতিও গুরুতর । এখনও দুর্গত অঞ্চলে ত্রান সামগ্রী পাঠানো , বসতবাড়ী পুনর্নির্মান ও উত্পাদন পুনরুদ্ধারের অনেক কাজ বাকি রয়েছে । তিনি বলেন , দুর্গত অঞ্চলের অধিবাসীদের সাহায্য করার জন্য সরকার অব্যাহতভাবে ত্রাণসামগ্রী পাঠাবে এবং বাজারে পণ্য সরবরাহ ও দুর্গত অঞ্চলের রোগীদের চিকিত্সা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেবে । এর পাশাপাশি ধসে পড়া বসতবাড়ীর পুনর্নির্মাণ ও উত্পাদন পুনরায় শুরু করার কাজ শুরু হবে । যাতে দুর্গত অঞ্চলের মানুষের খাওয়া , থাকা , চিকিত্সা ও সন্তানের লেখাপড়ার সমস্যা নিরসন করা যায় এবং বাজারের সরবরাহ নিশ্চিত হয় । পরিকল্পনা অনুসারে সরকার এ মাসের শেষ নাগাদ ধসে পড়া বসতবাড়ি পরীক্ষার কাজ শেষ করবে এবং জুন মাসের আগে এ সব বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ করবে । দুর্গত অঞ্চলের খাদ্যশস্যের চাহিদা মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১৭৫ কোটি ইউয়ানের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে । লি লি কো আরো বলেন , দুর্গত অঞ্চলের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও ছেলেমেয়েদের স্বাভাবিক লেখাপড়া নিশ্চিত করার কাজের ওপরও সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে ।

    চীনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা চান ইয়ু সিয়ান বলেন , এ দুর্যোগে কৃষির ক্ষয়ক্ষতি গুরুতর । কৃষি উত্পাদন আবার শুরু করার জন্য কৃষি বিভাগ বেশকিছু ব্যবস্থা নিয়েছে । কৃষকদের প্রযুক্তিগত সেবা ছাড়া বীজ ও চারার সরবরাহ ও প্রধান প্রধান কৃষি পণ্যের উত্পাদন নিশ্চিত করতে হবে । শাকসব্জির সরবরাহ নিশ্চিত করার কন্য দুর্গত অঞ্চলে শীতকালীন শাকসব্জি চাষের উষ্ণ বাগানগুলো অল্প সময়ের মধ্যে পুনরুদ্ধার করতে হবে ।

    বাজারের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুর্গত অঞ্চলের বিপুল পরিমান মাংস ও শাকসবজি পাঠিয়েছে । বর্তমানে দুর্গত অঞ্চলের বাজারে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর সরবরাহ স্বাভাবিক , দামও কিছুটা কমেছে ।